শিক্ষক মানুষ গড়ার কারিগর। নীতি, আদর্শ আর ভালোবাসাকে পাথেয় করে আনন্দের সঙ্গে বেঁচে থাকেন আমাদের শিক্ষকরা। কিন্তু সমাজ যখন কলুষিত তখন সেই কালিমা সবার গায়েই কম-বেশি লাগে। তেমনই একটি ঘটনা ঘটেছে নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলায়। খোলাবাড়িয়া উচ্চবিদ্যালয়ের সভাপতি ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষক সালাহ্ উদ্দিনকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। অবশেষে প্রচন্ড অপমান আর নিরাপদহীনতায় এলাকা ছেড়েছেন ওই শিক্ষক।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয়ের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনে বিলম্ব হওয়ায় গত বুধবার তাকে মারধর করা হয়।
আর জানা গেছে, প্রায় দুই মাস আগে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মী আবদুল আওয়ালকে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। স্থানীয় সাংসদ শফিকুল ইসলামের পরামর্শে তাকে সভাপতি করা হলেও আজ পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়নি। গত বুধবার দুপুরে আবদুল আওয়াল ও তার অনুসারীরা বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষক সালাহ্ উদ্দিনকে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনে বিলম্বের কারণ জানতে চান। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে প্রধান শিক্ষককে মারধর করেন তারা। এ সময় অন্য শিক্ষকদের সঙ্গে হামলাকারীদের হাত থেকে প্রধান শিক্ষককে বাঁচাতে এসে তার দুই ভাই আবদুল মতিন ও ফয়জুল ইসলামও আহত হন।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সভাপতি, তার ভাই প্রভাষক আয়নাল হক, তাদের অনুসারী আবদুল হাই, আলমগীর হোসেন ও মো. সেন্টুর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনের নামে নলডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দেন তিনি।
নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, “অভিযোগটি এখনো মামলা হিসেবে নেওয়া হয়নি। থানায় ডেকে মীমাংসায় বাধ্য করানোর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি কাউকে মীমাংসার জন্য ডাকিনি। তাই মীমাংসার জন্য জোর করার প্রশ্নই ওঠে না।”