সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২১, ১০:৪৫ পিএম
সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার হওয়া ঝুমন দাসের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন ও র্যালি করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রাজু স্মৃতি ভাস্কর্য’র পাদদেশে ওই মানববন্ধন ও র্যালি অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার দায়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তাকে গ্রেপ্তার করা হলেও ফেসবুকে দেওয়া তার পোষ্টে ওই ধরণের কোনো কিছু ছিল না।
ঝুমন দাশ অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, ফেসবুকে পোস্ট দেয়ার অভিযোগে তার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঘটনা হবে দেশের অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে আঘাত করার শামিল। অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী ও সবার ধর্মীয় অধিকারে বিশ্বাসী বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে তাকে মুক্তি দেবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাহিত্য সম্পাদক এস এম রাকিব সিরাজী বলেন, ‘‘আমাদের কাছে এটা পরিষ্কার নয় আদালত কেনো তাকে জামিন দিচ্ছেন না।’’ মুক্তচিন্তার ক্ষেত্রে ঝুমন দাশ একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হল শাখা ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সহকারি সাধারণ সম্পাদক আবু ইউনুস বলেন, ‘‘আদালতে সাতবার আবেদন করেও ঝুমন দাশ জামিন পেতে ব্যর্থ হয়েছেন। তার অপরাধ কী ছিল?’’
‘ধর্মীয় অনুভূতিকে অপমান’ বিষয়ে সরকারের সঠিক ব্যাখ্যা দাবি করে তিনি আরও বলেন, এটা ছাড়া অনেকে ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হওয়ার জন্য এটি ব্যবহারের সুযোগ নিতে পারে।
ফেইসবুকে হেফাজতে ইসলামের নেতা (বর্তমানে সাবেক) মামুনুল হককে নিয়ে ‘আপত্তিকর পোস্ট’ দিয়েছেন- এমন অভিযোগ তুলে গত ১৭ মার্চ শাল্লার নোয়াগাঁওয়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রায় ৯০টি বসত বাড়িতে হামলা চালানো হয়। তখন ঝুমন দাশের বিরুদ্ধে শাল্লা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়।ওই মামলায় এখনও কারাগারে রয়েছেন ঝুমন দাশ।