আগস্ট ২৭, ২০২২, ০৪:৪৩ পিএম
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান মিশেল ব্যাচেলেট কাছে ৭৬ জন গুমের ভিডিওসহ অন্যান্য বিষয় প্রেজেন্টেশন করা হয়েছিল। তিনি এই প্রেজেন্টেশন দেখে কোনো প্রশ্ন তুলেননি। তিনি গুমের তথ্য চেয়ে বেশকিছু প্রশ্ন আগেই পাঠিয়েছিলেন। সেই প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে তার সঙ্গে আমাদের দীর্ঘসময় আলোচনা হয়েছে।
শনিবার হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে ‘ইনার হুইল ক্লাব’-এর আয়োজনে‘পঞ্চম দক্ষিণ এশিয়া সম্মেলন’এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
সুনির্দিষ্ট তথ্য ছাড়াই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এমন মন্তব্য করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিশেল ব্যাচেলেট অনেক সংস্থা, বিরোধী দল ও সুশীল সমাজের সঙ্গে কথা বলেছেন। আমরা তাকে আরও একটি পরিসংখ্যান দেখিয়েছিলাম: ২০০৫-এ বিএনপির ক্ষমতার শেষ বছরে কতজন নিখোঁজ হয়েছিল। এটা ইউএস ডিপার্টমেন্টের একটা নথি। সেটাই আমি তাকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলাম। সেই সংখ্যাটা ৪১১ প্লাস, নিখোঁজ।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার যেহেতু বাংলাদেশের মানবাধিকার লংঘনের প্রমাণ পায়নি, সেহেতু বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল তা ভিত্তিহীন প্রমাণিত হলো কিনা— স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে এমন প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। এর জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি শুধু জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের উক্তিটিই করেছি। অনেকেই অনেক কথা বলেন। আমি সব সময় বলে থাকি তথ্যভিত্তিক ছাড়া ও প্রমাণ ছাড়া কিছু বললে তা কেউ বিশ্বাস করে না।’
হাইকমিশনার সব কিছু বিশ্লেষণ করে তার মতামত দিয়েছেন উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মিশেল ব্যাচেলেট তার বিজ্ঞতা দেখিয়েছেন। তিনি বলেছেন— বাংলাদেশ মানবাধিকার লংঘন করছে না। বরং খুব সযত্নে দেশ পরিচালনা করছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই কথায় তিনি (মিশেল ব্যাচেলেট) বারবার বলেছেন।’