একাত্তরের গণহত্যাকে স্বীকৃতি দিল যুক্তরাষ্ট্র

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জানুয়ারি ১, ২০২২, ১১:৫৯ এএম

একাত্তরের গণহত্যাকে স্বীকৃতি দিল যুক্তরাষ্ট্র

১৯৭১ সালে  মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশি জনগণের ওপর পাকিস্তানি সেনাদের চালানো নির্মম হত্যাযজ্ঞকে ‘জেনোসাইড বা গণহত্যা’ বলে স্বীকৃতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান লেমকিন ইনস্টিটিউট ফর জেনোসাইড প্রিভেনশন। সংস্থাটি সারাবিশ্বে মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যা নিয়ে কাজ করে থাকে।

মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সাংবাদিক সিরাজউদ্দিন হোসেনের ছেলে সাংবাদিক তৌহিদ রেজা নূর গত বছরের ১৫ নভেম্বর এ স্বীকৃতির জন্য আবেদন করেন। খ্রিস্টীয় নতুন বছর শুরুর ক্ষণে লেমকিন ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তা আইরিন ভিক্টোরিয়া মাসিমিনোর ইমেইলে দেওয়া এক বিবৃতির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতির বিষয়টি জানান।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এই আন্তর্জাতিক এই সংগঠনের স্বীকৃতির মধ্য দিয়ে একাত্তরের পাকিস্তানিদের হত্যাযজ্ঞ বৈশ্বিক স্বীকৃতি পাওয়ার পথ সুগম হলো।

তৌহিদ রেজা নূর গণমাধ্যমে পাঠানো তার প্রতিক্রিয়ায় জানান, “আমি খুবই আনন্দিত। সুবর্ণজয়ন্তীর বছরেই এ স্বীকৃতি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের মানুষের জন্য এক বিশাল অর্জন ও প্রাপ্তি। এরমধ্যে অপরাপর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা সংস্থাগুলোও একাত্তরের গণহত্যাকে একে একে স্বীকৃতি দেবে বলে আমার বিশ্বাস।”

প্রসঙ্গত, পোলিশ রাফায়েল লেমকিনের নামানুসারে লেমকিন ইনস্টিটিউট ফর জেনোসাইডের নামকরণ করা হয়।  লেমকিনকে ‘জেনোসাইড’ বা ‘গণহত্যা’ শব্দটির উদ্ভাবক বলা হয়।

তথ্য প্রযুক্তির যুগে জেনোসাইড ও এর নিবৃত্তি: একবিংশ শতকের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এই আহ্বান জানানোর কথা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এরপর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আইএজিএস প্রেসিডেন্ট মেলানি ও‘ব্রায়েনের কাছে প্রস্তাবের খসড়া পাঠান তৌহীদ রেজা নূর।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে এ দেশের নিরস্ত্র মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামের সেই অভিযানে প্রথম প্রহরে ঢাকায় চালানো হয় গণহত্যা। তারপর নয় মাসে ৩০ লাখ বাঙালিকে হত্যা করা হয়।

বাংলাদেশ জেনোসাইডের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রস্তাব পাস করতে এর আগে গত বছরের ৩ আগস্ট আরেকটি জেনোসাইড বিশেষজ্ঞদের আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল জেনোসাইড স্কলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (আইএজিএস) প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

Link copied!