বিগত কয়েক বছরের তুলনায় কাঁচা চামড়ার সরবারহ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানায় ব্যবসায়ীরা। কোরবানি ঈদের প্রথম তিনদিনেই রাজধানীর প্রায় ২০ লাখ চামড়া সংগ্রহ করতে পেরেছে বলে জানায় তারা। রাজধানীর পোস্তায় দেশের বৃহৎ কাঁচা চামড়া সংগ্রহের আড়তদারদের সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
১০ ভাগ বেশি চামড়া সংগ্রহের আশা
গত বছরের তুলনায় ১০ ভাগ বেশি চামড়া সংগ্রহের আশা করছে ব্যবসায়ীরা। গত বছরে তুলনায় ইতোমধ্যে ৩ থেকে ৪ লাখ বেশি চামড়া বেশি সংগ্রহ করা হয়েছে ইতোমধ্যে। এছাড়া এবারের আবহাওয়া তুলনায়মূলক ভাবে গরম কম থাকায় চামড়া নষ্ট হওয়ার পরিমানও কমেছে। এদিকে লবণের মূল্য নাগালে থাকার কারনে যথাসময়ে চামড়ায় লবণ দেয়া হয়েছে বলে জানান তারা।
সারা দেশে ১ কোটি ১০ লাখ কোরবানি হয়েছে
চলতি বছরে ১ কোটি ১৯ লাখ কোরবানিযোগ্য পশু থাকলেও শেষ মুহুর্তে অনেক পশুই বিক্রি হয়নি। শেষ মুহুর্তে পশুর দাম কমে যাওয়ায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনেও কোরবানি দিতে দেখা যায় অনেককে। গত বছরে মাত্র ১ কোটি পশু কোরবানি হয়েছিল। তবে চলতি বছরে ১ কোটি ১০ লাখ পশু কোরবানি দেয়া হয়েছে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশ হাইড এন্ড স্কিন মার্চেন্ট এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক টিপু সুলতান বলেন, বিগত বছরের তুলনায় কাঁচা চামড়ার যোগান চলতি বছরে বেশি রয়েছে। সে হিসেবে এবছর কোরবানির পশুর চামড়াও বেশি পাব বলে আশা করছি। চামড়া রপ্তানির সুযোগ দেয়ায় এবারের চামড়া অবিক্রিত থাকবে না বলে জানান তিনি।
মৌসুমী ব্যবসায়ীদের সংখ্যা কমছে
এবার চামড়ার দাম গতবারের চেয়ে কম বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট বিক্রেতারা। ফলে সাধারণ ও মৌসুমি ব্যবসায়ীরা অনেক ক্ষেত্রে লোকসানের মুখে পড়ছেন বলে অভিযোগ করেন। কিন্তু আড়তদারদের মতে, চামড়ার দাম তেমন কমেনি। ইউসুফ হোসেন নামে এক চামড়া ব্যবসায়ী বলেন, গতবার যে চামড়ার দাম ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা ছিল, এবার তা ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত দাম দিতে চাচ্ছেন আড়তদারেরা। এখন ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।
ফিরোজ হোসেন নামের এক সাধারণ ব্যবসায়ী বলেন, ৩০টির মতো চামড়া এনেছি। এখন দাম দিতে চায় কেনা দামের চেয়ে কম। কীভাবে বিক্রি করব। চামড়ার দাম গতবারের চেয়ে কম।
এবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রক্রিয়াজাতকারী কাঁচা চামড়ার দাম ঢাকার বাইরে প্রতি বর্গফুট ৩৩ থেকে ৩৪ টাকা নির্ধারণ করেছে। কাঁচা চামড়া প্রক্রিয়াজাত করতে লবণ ও মজুরি খরচ যোগ করতে হয়। আড়তদারদের মতে, তাতে ফুটপ্রতি ১২ টাকা খরচ হয়।