নিত্যপণ্যের দাম এখন লাগামছাড়া। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পর বাজারে আরেক দফা বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম। একদিনের ব্যবধানেই ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজিতে বেড়েছে ৪০ টাকা। খোলা সয়াবিন তেল ও পামঅয়েল কেজিতে ২০ থেকে ২৫ টাকা বেড়েছে। সবজির দামও বেশ চড়া।
ব্রয়লার মুরগির পাশাপাশি অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম। ডিমের ডজনও বেড়েছে ২০ থেকে ২৫ টাকা। প্রথমবারের মতো ফার্মের মুরগির এক ডজন ডিমের দাম ১৪৫ টাকায় উঠেছে। এর সঙ্গে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি। তবে কাঁচা মরিচের দাম কিছুটা কমেছে।
রাজধানীর বেশ কয়েকটি কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম প্রতি কেজিতে ৪০-৫০ টাকা বেড়েছে। বর্তমান দাম ২০০ টাকা। শুধু ব্রয়লার নয়, বেড়েছে পাকিস্তানি কক মুরগির দামও। গত সপ্তাহেও পাকিস্তানি ককের দাম ছিল ২৪৫-২৫০ টাকার মধ্যেই। আজ বিক্রি হচ্ছে ২৭০-২৭৫ টাকায়।
এদিকে, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই সবজির বাজারও আগুন। প্রায় সব ধরনের সবজির দামই কম বেশি বেড়েছে। টমেটোর কেজি একলাফে বেড়েছে ৪০ টাকা।
গত সপ্তাহে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া পাকা টমেটো এখন ১০০ থেকে ১৩০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। আর গাজর গত সপ্তাহের মতো ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। বরবটিও গত সপ্তাহের মতো ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
তবে শসার দাম বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। গত সপ্তাহে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া শসা এখন ৭০ থেকে ৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা, কাঁকরোলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা, কাঁচা পেঁপের কেজি ২০ থেকে ২৫ টাকা, পটল ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। কচুর লতি, ঝিঙে, চিচিঙ্গার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। করলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে এসব সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।