রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকার নিউ সুপার মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে সাহসী ভূমিকা ও মানবিক কাজের স্বীকৃতি হিসেবে পুলিশের ৩৬ সদস্যকে পুরষ্কৃত করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ-ডিএমপি। এদের মধ্যে ১০ জনের প্রত্যেককে দশ হাজার টাকা করে এবং অপর ২৬ পুলিশের প্রত্যেককে ৬ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (২ মে) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর রাজারবাগ শহীদ এসআই শিরু মিয়া মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক তাদের পুরষ্কৃত করেন।
পুরষ্কৃত করা পুলিশ সদস্যরা হলেন- এএসআই মো. হোসেন, কনস্টেবল পরান সরকার, আবেদুর রহমান, গোলাপ, কাকন, শান্ত, মো. সজীব, উজ্জ্বল কুমার বর্মণ, রাকিব, খালিদ, মো. গোলাম মোস্তফা, মো. সজীব, অনিক বড়ুয়া, মো. মেহেদী হাসান, এইচ এম আ. কাইয়ুম, মো. শামীম হোসেন, মো. ইমামুস সুলতান, মো. রাসেল আহমেদ, সাইফুল ইসলাম সৈকত, মো. নোমান, মো. ফাহিম হোসেন, সঞ্জয় চন্দ্র বর্মণ, মো. তুষার আর্থী, রাজু আহমেদ রাজ, মো. শাহীন, মো. সাকিব, মো. জাহিরুল, মো. মাহমুদুল, মো. নাঈম, মো. মিজান, মো. বোরহান, মো. আকিবুল, মাসুদ রানা, মো. আমির হোসেন, মো. মিলন ও মো. মামুন।
এছাড়াও ডিএমপি মিডিয়া বিভাগের ৭ জনকে পুরুস্কৃত করা হয়। তারা হলেন—এএসআই মো. মুশফিকুর রহমান, কনস্টেবল মো. আবুল কালাম আজাদ, মো. আদনান খান, বরুণ কুমার রায়, মো. আবেদ মিয়া, মো. রাসেল আহমেদ ও মো. মনিরুজ্জামান।
পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, “পুলিশের পোষাক বা দায়িত্বে থেকে এমন কোন অন্যায় কেউ করবেন না যা ডিএমপির ৩২ হাজার পুলিশ সদস্যকে লজ্জায় ফেলে। আজকের এই অনু্ষ্ঠানে পুরস্কার দেওয়ার কারণ হলো অনুপ্রেরণা। কারণ মানবিকতার কোন মূল্য হয়না। এখন তাদের যা দেওয়া হচ্ছে সেটা দিয়ে হয়ত ভালো কাপড়ও হবেনা। তবে দেশের নানা ঘটনায় বাংলাদেশ পুলিশ দেশ মাতৃকার টানে পালিয়ে যায় না।”