বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং; প্রবল বেগে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে। দেশের মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এমতাবস্থায় সারাদেশে সব ধরনের নৌ-যান চলাচল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ(বিআইডব্লিউটিএ)।
সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক বিষয়টি দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে নিশ্চিত করেছেন। বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান আরও বলেন, “ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। সমুদ্রে অবস্থান করা জাহাজগুলো যেখানে আছে সেখানেই রাখতে বলা হয়েছে।” পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে বলেও তিনি জানান।
এদিকে,ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মঙ্গলবার ভোর অথবা সকালে খেপুপাড়ার নিকট দিয়ে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উপকূলীয় জেলায় ৮ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
সিত্রাং এখন পূর্ব-মধ্যবঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্যবঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে বুধবার সন্ধ্যা নাগাদ এটি উপকূলে আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ইতিমধ্যে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে দমকা ও ঝোড়ো বাতাস বয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ঝুঁকিতে রয়েছে উপকূলের ১৯ জেলা। বিপর্যয় মোকাবিলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে সংশ্লিষ্ট এলাকার আশ্রয়কেন্দ্র। এদিকে চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর এবং কক্সবাজার উপকূলকে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।