সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যা মামলার দ্বিতীয় দফার দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে এ মামলার ৪ নম্বর সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা শুরু হয়।
সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে কড়া প্রহরায় সিনহা হত্যা মামলার অন্যতম আসামি বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ সহ ১৫ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়।
উল্লেখ্য, গত বছর ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।
উল্লেখ্য, গত বছর ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মুহাম্মদ রাশেদ খান।
এ ঘটনার পর সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় লিয়াকত আলীকে। ঘটনার পরপর পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় একটি ও রামু থানায় আরেকটি মামলা করে।
মেজর সিনহা নিহত হওয়ার ৬ দিন পর লিয়াকত আলী ও ওসি প্রদীপসহ সাত পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আসামিদের মধ্যে ওসি প্রদীপ, কনস্টেবল রুবেল শর্মা ও সাগর দেব ছাড়া অন্য ১২ জন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
এদিকে গতকাল তিন নম্বর সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ চলাকালে মিডিয়া ট্রয়াল থেকে সতর্ক থাকতে উভয় পক্ষের আইনজীবীদের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এপ্রসঙ্গে, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এবং কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম জানান, ‘এই মামলা নিয়ে আদালতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা না বলতে আদালতের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। যাতে কোন মিডিয়ার ট্রায়াল না হয় সে বিষয়ে সতর্ক করেছে আদালত’।
আসামী পক্ষের আইনজীবী মিডিয়া ট্রায়াল বিষয়ে রানা দাশ গুপ্ত জানান, সুষ্ঠু ও ন্যায়ার বিচারের স্বার্থে আদালত চান না উক্ত মামলার বিষয়গুলো মিডিয়ায় আসুক। সুতরাং এ ব্যাপারে উভয়পক্ষের আইনজীবীদের সতর্ক করে দিয়েছেন আদালত।