দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) চারটি হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে রাতভর দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষ্ ও্ ভাঙচুরের ঘটনার তদন্তে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে।
গতকাল শুক্রবার কমিটির প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. বিধান চন্দ্র হালদার বলেন, “আমরা দ্রুততম সময়ের মদ্যে তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি দিতে চাই। এরমধ্যেই আমাদের কমিটি কাজ শুরু করেছে।”
শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, পূর্বের কোনো ঘটনার জেরে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডরমেটরি-২ হলের ১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী আনজারুল ইসলামকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ৮-১০ জন শিক্ষার্থী মারধর ও ছুরিকাঘাত করেন।
ঘটনা জানাজানি হলে রাতেই ৮-১০ জন শিক্ষার্থী শেখ রাসেল হলে আশ্রয় নেন। এ সময় ডরমেটরি-২ হলের শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে শেখ রাসেল হলে গিয়ে হামলা চালায়। এতে উভয় হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।
এসময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের এক শিক্ষার্থী ডরমেটরি-২ এর সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় সেখানকার শিক্ষার্থীরা তাকে থাপ্পড় দেন। পরে শেখ রাসেল হল ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের শিক্ষার্থীরা লাঠিসোটা নিয়ে ডরমেটরি-২ আবাসিক হলের ভিতরে প্রবেশ করে ভাঙচুর চালায়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. মামুনুর রশিদ বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও সার্বিক তথ্য বিশ্লেষণ করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. জসীম উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি হলের ছাএদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় প্রায় ৫০ জন ছাত্রকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে গুরুতর আহত আনজারুল ইসলামসহ ৫-৬ জনকে দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”