মে ১১, ২০২৫, ০৬:১৯ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
‘সন্ত্রাস বিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এর খসড়ায় নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে সরকার, যেখানে সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত ব্যক্তি বা ‘সত্তার’ কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিধান যুক্ত করা হয়েছে।
রোববার, ১১ মে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে খসড়া অধ্যাদেশটি অনুমোদন পায় বলে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
সন্ত্রাস প্রতিরোধে ২০০৯ সালে এ আইন করা হয়। তবে সন্ত্রাসে জড়িত ‘সত্তার’ কার্যক্রম নিষিদ্ধে ‘স্পষ্ট’ কোনো বিধানে এতে ছিল না।
এখন সন্ত্রাসে জড়িত ব্যক্তি বা সত্তাকে সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা তালিকাভুক্ত করা যাবে। সংশ্লিষ্ট সত্তার কার্যক্রমও নিষিদ্ধ ঘোষণা করা যাবে।
অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সন্ত্রাসের প্রচার নিষিদ্ধ করা হবে তুলে ধরে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “বর্ণিত প্রেক্ষাপটে সন্ত্রাস বিরোধী আইন সংশোধন করে সত্তার কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা, প্রয়োজনীয় অভিযোজন করা এবং অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার নিষিদ্ধকরণের বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।”
সোমবার এ সংশোধনী অধ্যাদেশ আকারে জারি হতে পারে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
জরুরি অবস্থার মধ্যে ২০০৮ সালে সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার একটি অধ্যাদেশ জারি করে, যা ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সংসদে পাস হয় ‘সন্ত্রাস বিরোধী আইন’ হিসেবে।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরে এ আইনে ১০টি ‘জঙ্গি দল’ নিষিদ্ধ হয়।
আর প্রথম রাজনৈতিক দল হিসেবে গত বছরের ১ অগাস্ট নিষিদ্ধ হয় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা ও নাশকতায় সম্পৃক্ততার অভিযোগে সেদিন সরকারের নির্বাহী আদেশে জামায়াতের সঙ্গে ‘সন্ত্রাসী সত্তা’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয় ইসলামী ছাত্র শিবিরকেও।