মে ৫, ২০২৫, ০৬:০৫ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
প্রকাশ্য জনসভায় নারীর প্রতি অবমাননার অভিযোগে হেফাজতে ইসলামকে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) তিন নেত্রী এবং তিন নারী সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব।
সোমবার, ০৫ মে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
নারী সংস্কার কমিশনকে সামনে রেখে, পাবলিক স্পেসে ‘বেশ্যা’ বলার অধিকার কারও নেই, এই মর্মে সোমবার দুপুরে এই লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয় বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো এনসিপির তিন নেত্রী হলেন সৈয়দা নীলিমা দোলা, দ্যুতি অরণ্য চৌধুরী এবং নীলা আফরোজ। তারা তিনজনই এনসিপির সদস্য। আর তিন নারী সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হলেন উম্মে রায়হানা, উম্মে ফারহানা ও ক্যামেলিয়া শারমিন চূড়া।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘নারীদের প্রতি এই ধরনের নিপীড়নের সুযোগ নতুন বাংলাদেশে নেই। বিশেষ করে জুলাই অভ্যুত্থানের পর সেই সুযোগ একেবারেই থাকছে না। জুলাই অভ্যুত্থানে নারীর অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজেই নতুন বাংলাদেশ সবার হবে।’
এতে আরও বলা হয়, ‘সরকারের প্রস্তাবে যারা নারী সংস্কার কমিশন গঠন করতে গিয়েছেন এবং কাজ করেছেন তাদেরকে এই ধরনের অপমান বাংলাদেশের নারীদের জন্য ভয়ংকর। নারীর স্বাধীনতা এবং জীবনমানের ওপর যে প্রস্তাব বানানো হয়েছে সেটি নিয়ে দ্বিমত পোষণের সুযোগ থাকছে, কিন্তু গালি দেবার সুযোগ নেই।’
বিবৃতিতে হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সংশ্লিষ্টতার কথাও তুলে ধরা হয়। আওয়ামী সংশ্লিষ্ট সংগঠন কীভাবে জনসম্মুখে সমাবেশ করে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয় এতে।
বিবৃতিতে প্রশ্ন তোলা হয়, ‘ইসলামি যে আইন দেশে আছে সে অনুযায়ী কী হেফাজতের নেতারা তাদের পরিবারের নারীদের সম্পত্তি দিয়েছেন?’
এনসিপি নেত্রী সৈয়দা নীলিমা দোলা বলেন, ‘সংস্কার কমিশন তো সরকার ঠিক করে দিয়েছে। এর প্রতিবেদনের সাথে যে কারও দ্বিমত থাকতেই পারে। কিন্তু এভাবে একটি পাবলিক সমাবেশে কোনো মানুষকে আমরা বেশ্যা বলতে পারি না। এটা নারীদের অধিকার ও লড়াইয়ের প্রতি অবমাননা। কত নারী আমাদের আশে পাশে নিপীড়িত হচ্ছে, তাদেরকে আমরা কি বার্তা দিচ্ছি। আমাদের দলীয় অবস্থানও এটার বিপক্ষে। এটা এক ধরনের এটা নিপীড়ন।’ খবর ইনডিপেনডেন্ট ডিজিটাল।
হেফাজতের মহাসমাবেশে এনসিপির নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহও বক্তব্য দিয়েছেন। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে দোলা বলেন, ‘তিনি একটি রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। কিন্তু এর কনসেক্যুয়েন্স যে এরকম হবে এটা আমরা কেউই বুঝতে পারিনি। আমাদের নেতা কিন্তু একবারও বলেননি তিনি এই কমিশন বাতিল চান। তিনি কাউকে গালাগালিও করেন নি।’