দেশে কত বিদেশি মুদ্রা ঢুকছে এবং বেরিয়ে যাচ্ছে, তার হিসাব মিলছে না: জাহিদ হোসেন

নিজস্ব প্রতিবেদক

অক্টোবর ৫, ২০২৩, ১২:৩৬ এএম

দেশে কত বিদেশি মুদ্রা ঢুকছে এবং বেরিয়ে যাচ্ছে, তার হিসাব মিলছে না: জাহিদ হোসেন

বুধবার ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরামের (আইবিএফবি) বার্ষিক সম্মেলনে কথা বলেন অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

দেশে কত বিদেশি মুদ্রা ঢুকছে এবং কত মুদ্রা বেরিয়ে যাচ্ছে, তার হিসাব রিজার্ভ দিয়ে মিলছে না বলে অভিযোগ করেন অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, সাধারণত এই হিসাব কখনো ধনাত্মক, আবার কখনো ঋণাত্মক। কিন্তু সম্প্রতি বাংলাদেশের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, এই হিসাব বেশ কিছুদিন ধরে ঋণাত্মক। তিনি বলেন, ‘এর অর্থ হলো, আমাদের জানার বাইরে কিছু একটা ঘটছে।’

বুধবার (৪ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশান ক্লাবে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম-বাংলাদেশের (আইবিএফবি) বার্ষিক সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. জাহিদ হোসেন।

জাহিদ হোসেন বলেছেন, দেশের রিজার্ভ পরিস্থিতি এখনও এলার্মিং বা বিপজ্জনক পর্যায়ে না গেলেও উদ্বেগের পর্যায়ে চলে গেছে।

বিশ্ববাজারে তেলের দাম এবং ডলারের বিনিময় হার বেড়ে যাওয়ার কারণে দেশের লেনদেন ভারসাম্যে ঘাটতি তৈরি হয়েছে। জাহিদ হোসেন মনে করেন, সে কারণে অর্থনীতিতে বড় প্রভাব পড়ছে। তিনি বলেন, এতে যেমন বাংলাদেশি মুদ্রার বিনিময় হার কমছে, তেমনি রিজার্ভ কমে যাচ্ছে।

অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, এসব কারণে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বিপিএম ৬-এর সংজ্ঞা অনুসারে বাংলাদেশের নিট আন্তর্জাতিক রিজার্ভ এখন ১৮ বিলিয়ন ডলারের নিচে।

তিনি বলেন, ‘এখন প্রতি মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক ১০০ কোটি ডলারের বেশি বিক্রি করছে। এভাবে বিক্রি যদি চলতে থাকে, তাহলে একটা সময়ে রিজার্ভ তলানিতে নেমে যাবে। তখন মুদ্রা বিনিময় হার বর্তমানের মত চেপে রাখা যাবে না। এটা চলে যাবে নিয়ন্ত্রণের বাইরে।’

ড. জাহিদ বলেন, ‘ডলার স্বস্তিকর অবস্থায় থাকার সময় বিনিময় হার বাজারের উপর ছেড়ে দেওয়া হলে তখন কোনো অস্থিতিশীলতা দেখা দিলে হস্তক্ষেপ করার মতো অস্ত্র থাকে। কিন্তু সেটি না করা হলে পরে বাজারের উপর ছেড়ে দিতে না চাইলেও তা চলে যাবে। যা নিয়ন্ত্রণ করার কোনো উপায় থাকবে না।’

Link copied!