দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে গ্রাহকদের স্বস্তি দিতে গেল ৫ নভেম্বর দেশের মোবাইল অপারেটরদের তিনদিনের দামে সাত দিনের ডাটা প্যাকেজ অফার করতে নির্দেশ দেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। যা কার্যকর করতে হবে ১০ নভেম্বরের মধ্যেই। অনিচ্ছা সত্ত্বেও বিটিআরসির নির্দেশনা মেনে গত ৯ নভেম্বর মধ্যরাত থেকেই ইন্টারনেট ডাটা প্যাকগুলোর দাম কমাতে দেখা গেছে রবি, গ্রামীণফোন, বাংলালিংকসহ বিভিন্ন মোবাইল অপারেটরকে।
এ বিষয়ে মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশের (এমটব) এক বিবৃতিতে জানায়, ‘গত ১৫ অক্টোবর নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্দেশাবলী অনুযায়ী নানাবিধ প্রতিকূলতা সত্ত্বেও অপারেটররা তাদের ইন্টারনেট প্রোডাক্ট পোর্টফোলিও আপডেট করে। দুর্ভাগ্যবশত এর মাত্র ১৫ দিন পরে আবারও প্রোডাক্ট পোর্টফোলিও পরিবর্তন করতে নতুন নির্দেশনাবলী দেওয়া হয়েছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমরা ইতোমধ্যেই এই জটিল পোর্টফোলিও পরিবর্তন করেছি।’
বিভিন্ন মোবাইল অপারেটরদের ওয়েবসাইটের তথ্যমতে কোন ডেটা প্যাকের দাম কত কমছে-
মোবাইল অপারেটরদের মাঝে গ্রামীণফোনে দেখা গিয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে তাদের প্রায় সকল প্যাকেজে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত মূল্য বৃদ্ধি করেছে। গত সপ্তাহে ৭ দিন মেয়াদী ১ জিবির মোবাইল ডেটা প্যাক ৬৯ টাকায় অফার করতে দেখা গিয়েছে। যা শুক্রবারের নতুন নির্দেশনার পর থেকে ২১ টাকা কমিয়ে ৪৮ টাকায় আনা হয়েছে।
অন্য আরেক মোবাইল অপারেটর রবিতে, একই মেয়াদের বোনাস সহ ১ জিবি ইন্টারনেট প্যাকেজের দাম ৫৮ টাকা কমিয়ে ৪৮ টাকা এবং ২ জিবি ইন্টারনেট প্যাকেজ ৬৮ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গিয়েছে।
বাংলালিংকে ৬৯ টাকায় ১ জিবির সাথে ১ জিবি ফ্রি অর্থাৎ ২ জিবি ডেটা অফার করছে। এয়ারটেলে ১ সপ্তাহের ১ জিবি ইন্টারনেট প্যাক ৪৯ টাকা।
গত ১৫ অক্টোবর থেকে মোবাইল ইন্টারনেটের তিন ধরনের প্যাকেজ কার্যকর হয়। সেদিন থেকেই বিটিআরসির নির্দেশনা মেনে ৩ ও ১৫ দিনের প্যাকেজ বাতিল করে অপারেটরগুলো।
এর পরিবর্তে শুধুমাত্র ৭ দিন, ৩০ দিন এবং আনলিমিটেড মেয়াদের প্যাকেজ কিনতে পাবেন গ্রাহকরা। কিন্তু স্যাশে প্যাক কমানোতে গ্রাহক হারানো এবং গ্রাহকদের হারানোর ক্ষতি পূরণের কথা জানিয়ে প্রায় সকল অপারেটরই নিজেদের ইন্টারনেট প্যাকের দাম বাড়ায়। গৃহীত নির্দেশনা অপারেটরদের প্রবল আপত্তির মুখেই এলেও সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের কঠোর নির্দেশনা দেয় বিটিআরসি।