জুলাই ৩, ২০২৩, ০৬:৪০ পিএম
সদ্য গত হওয়া অর্থবছরে (২০২২-২৩) দেশ থেকে তৈরি পোশাকসহ অন্যান্য পণ্য রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ। তবে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যমতে জুলাই ২০২২ থেকে জুন ২০২৩ পর্যন্ত ১২ মাস সময়ে পণ্য রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ৫৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ৪৭ বিলিয়ন ডলার আয় এসেছে শুধু তৈরি পোশাক খাত থেকে।
গত অর্থবছরে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আগের অর্থবছরে (২০২১-২২) পণ্য রপ্তানি থেকে প্রকৃত আয় হয়েছিল ৫২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
চলতি বিনিময় হার প্রতি মার্কিন ডলার ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা হিসেবে টাকার অংকে সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে পণ্য রপ্তানি থেকে আয় এসেছে ৬ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকার মতো। এর মধ্যে ৫ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা আয় হয়েছে তৈরি পোশাক খাত থেকে। তৈরি পোশাক শিল্পের রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০ দশমিক ২৭ শতাংশ।
শুধু জুন ২০২৩ মাসে রপ্তানি আয় হয়েছে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক ৫১ শতাংশ। আগের বছর জুন মাসে আয় হয়েছিল ৪ দশমিক ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
ইপিবির তথ্য থেকে জানা যায়, গত বছরে প্রাইমারি কমোডিটির আওতায় তামাক, মসল্লা ও জীবন্ত মাছ ছাড়া সবধরনের পণ্য রপ্তানি আয় কমেছে। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে হিমায়িত মাছ যেমন চিংড়ি ও কাঁকড়া, কৃষিপণ্য যেমন চা, সব্জি, ফলমূল ও ড্রাইফুড বা প্যাকেটজাত শুকনো খাবার।
ম্যানুফ্যাকচারড কমোডিটি বা শিল্প কারখানায় উৎপাদিত পণ্যের মধ্যে পেট্রোলিয়াম বাই প্রডাক্ট, ফার্মাসিউটিক্যালস, প্লাস্টিক ওয়েস্ট রপ্তানিতে নেতিবাচক আয় হয়েছে। এছাড়া, হালকা প্রকৌশল খাতের সব পণ্যে রপ্তানি আয় কমেছে।
তবে আয় বেড়েছে সিমেন্ট, স্টোন, কটন, পেপার, কাঠ ও কাঠের তৈরি পণ্য, কসমেটিক ও পিভিসি ব্যাগ রপ্তানিতে।
পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি আয় আগের তুলনায় কমলেও উদীয়মান সাব সেক্টর হিসেবে রপ্তানি আয়ে এগিয়ে গেছে ম্যান মেইড ফিলামেন্টস ও স্ট্যাপল ফাইবার। এ খাতে ১২ মাসে আয় হয়েছে ৩১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আগের বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি ৪২ দশমিক ৯৮ শতাংশ।
এছাড়া, স্পেশাল ওভেন ফাইবার রপ্তানিও বেড়েছে।
গত এক বছরে এ পণ্য রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ৫২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আগের বছরে আয় হয়েছিল ৩২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।