ঢাকার খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমলেও এক মাসের ব্যবধানে রসুনের দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। শুক্রবার ঢাকার বিভিন্ন বাজারে আমদানি করা রসুন ২০০ টাকা কেজি দরেও বিক্রি হয়েছে। আর দেশি রসুন মিলছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়।
রামপুরা বাজারের এক মুদি দোকানি বলেন, “রসুনের দাম এত বেশি বেড়েছে যে এখন কাস্টমারদের বিশ্বাস করাতে পারছি না। যদি বলি রসুন ২০০ টাকা, তখন মানুষ অবাক হয়ে থাকিয়ে থাকে।” এই বিক্রেতার ভাষ্য, “কোনো জিনিসের দর বেশি বেড়ে গেলে আমরাও সমস্যার মধ্যে পড়ে যাই। তখন কাস্টমার বেশি দর কষাকষি করে, কিন্তু আমরা তো লস দিয়ে বিক্রি করতে পারি না।”
এদিকে আটা ও ময়দার দাম আরেক দফা বেড়েছে। পাশাপাশি অতিরিক্ত মজুদ ও দাম বেশি নেওয়ায় দেশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযানের মধ্যেও সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে বলে জানাচ্ছেন বিক্রেতারা।
বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজারে সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে । সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ-টিসিবির বাজার দরের তালিকায় দেখা যায়, বৃহস্পতিবার খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আমদানি করা রসুন বিক্রি হয়েছে ১৭০ থেকে ১৯০ টাকায়, গত সপ্তাহে ছিল ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা। আর এপ্রিলে আমদানি করা রসুনের দাম ছিল ১০০ থেকে ১৩০ টাকার মধ্যে।
ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে দেশি রসুনের চেয়ে আমদানি করা রসুনের চাহিদা বেশি। আমদানি করা রসুনের দাম বাড়ার পাশাপাশি দেশি রসুনের দামও বেড়েছে। গত এক মাসের ব্যবধানে দেশি রসুনের দামও বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।
প্রতি কেজি দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ৯০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে। এপ্রিলে এই রসুন বিক্রি হয়েছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে।
তবে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৫ টাকা কমে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে শুক্রবার।