চরম মুদ্রাস্ফীতি বর্তমান বিশ্বের নতুন দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি এশিয়ার দেশসহ বিশ্ব অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এই মুদ্রাস্ফীতি মোকাবিলা করতে যেখানে দেশগুলো হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে যুক্তরাষ্ট্র এ নিয়ে কথা বলতে বা সমাধানে পদক্ষেপ গ্রহণে তেমন কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না। ইউক্রেন সংকটের কারণে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি, খাদ্য ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি চলমান পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে এবং এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রে চরম মুদ্রাস্ফীতি ঘটছে।
যুক্তরাষ্ট্রের অল্প সময়ে অত্যধিক পরিমাণগত সহজকরণ, চীনের বিরুদ্ধে বাণিজ্যযুদ্ধ, বৈশ্বিক সাপ্লাই চেইনে ব্যাঘাতের মতো অযৌক্তিক নীতি অনুসরণের পাশাপাশি ইউক্রেন সংকট বৃদ্ধি এবং দেশের অভ্যন্তরে বিশাল পরিমাণে আর্থিক ভর্তুকি প্রদানের মতো বিষয়গুলোর কারণে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে থাকে। অর্ধশতাংশ পয়েন্টের রেকর্ড উত্থানসহ ফেডারেল রিজার্ভ এই বছর দুই বার সুদের হার বাড়িয়েছে। উল্লেখ্য, ২০০০ সালের পর এই প্রথম এত বেশি পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। ফেডারেল রিজার্ভ ঘোষণা করেছে যে এটি জুন মাসে ব্যালেন্স শিট হ্রাস করা শুরু করবে। এসব পদক্ষেপ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে।