দর্জির দোকান থেকেই স্কুল ড্রেস পরছে অনেকে

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

সেপ্টেম্বর ১২, ২০২১, ১০:৩৫ পিএম

দর্জির দোকান থেকেই স্কুল ড্রেস পরছে অনেকে

প্রায় ৫৪৪ দিন বন্ধ ছিল স্কুল ও কলেজ। হঠাৎ ঘোষণার পর অনেকেই দর্জির কাছ থেকে নির্দিষ্ট স্কুল ড্রেস বুঝে পায়নি। তাই অনেককেই ক্লাসে প্রবেশের আগে শেষ মুহুর্তে স্কুল ড্রেস পরতে দেখা যায়। আকার ও সাইজ সঠিক না হলেও বাধ্য হয়েই এমন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয় বলে জানায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

প্রথমদিন সাইজ ও পছন্দমত স্কুল ড্রেস পায়নি শিক্ষার্থীরা

মতিঝিল মডেল স্কুলে গিয়ে দেখা যায়, স্কুল সংলগ্ন দর্জির দোকানে রয়েছে প্রচুর ভীড়। অনেকেই প্রাথমিক অবস্থায় পরার জন্য নিজের সাইজ ও পছন্দমত পোশাক না পেয়েও কিনছে। গত কয়েকদিনে বিভিন্ন দর্জি থেকে অর্ডার দেয়ার পরও পোশাক পায়নি বিধায় এমন সমস্যা হয়েছে বলে জানায় তারা।

প্রথম শ্রেণীর শিক্ষার্থী আয়ানকে স্কুল প্রাঙ্গনেই পোশাক পরতে দেখা যায়। দুপুর ১২ টায় ক্লাস শুরু হবে কিন্তু স্কুল ড্রেস এখন পায়নি। তাই দোকানের বাহিরেই নিজের আকার অনুসারে পোশাক খুঁজতে থাকে। তবে কাঙ্ক্ষিত আকার না পেয়ে শেষ পর্যন্ত একটু বড় পোশাকই পরতে হয় তাকে। অনেক দিন পর ক্লাসে ফিরতে পারার আনন্দে কাঙ্ক্ষিত স্কুল ড্রেস না পাওয়া নিয়ে কোন মাথা ব্যথা ছিল না তার।

সন্তানের স্কুল ড্রেস নিয়ে আক্ষেপই করলেন গৃহিণী জাহানারা জাহান। তিনি বলেন, এক সপ্তাহ আগেই স্কুল ড্রেসের অর্ডার দিয়েছিলাম। কিন্তু দর্জি কাজের চাপের অজুহাতে নির্দিষ্ট সময়ে পোশাক দিতে পারেনি। তাই এখন রেডিমেট দোকানেই স্কুল ড্রেস কিনতে হচ্ছে। সমস্যা হচ্ছে ওর আকার ও পছন্দ অনুসারে জামা পাইনি। তাই প্রথম দিনে বাধ্য হয়েই বড় আকারের জামা পরে স্কুলে যেতে হচ্ছে।

ক্লাস রুটিন না জেনে বিপত্তিতে অনেকেই

এদিকে মতিঝিল আইডিয়াল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনেক শিক্ষার্থী এসেই ফিরে গিয়েছে। দ্বিতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা ক্লাস রুটিন সম্পর্কে অবহিত না থাকায় এমনটা হয়েছে। তবে অভিভাবকদের অভিযোগ ক্লাসে রুটিন কয়েকজনকে এসএমএস করেছে আবার কয়েকজনকে করা হয়নি। যার ফলে এমন ধরনের দ্বিধার সৃষ্টি হয়েছে। এখন পূর্ণাঙ্গ রুটিন পাওয়ায় এমন সমস্যা আর হবে না বলে জানায় তারা।

Link copied!