তীব্র তাপপ্রবাহের পর জ্যৈষ্ঠের শেষে দেশজুড়ে বৃষ্টি ঝরেছে। গরমে যখন প্রাণ ওষ্ঠাগত, তখনই ঝরল শান্তি ও স্বস্তির বৃষ্টি। ঋতুচক্রের পালাবদলে আবারও ফিরেছে আষাঢ় মাস। আজ আষাঢ়ের প্রথম দিন।
আষাঢ়ের প্রথম দিন থেকেই গ্রীষ্মের তপ্ত দাহে জ্বলে যাওয়া অবসাদে ক্লান্ত-শ্রান্ত বৃক্ষরাজি সিক্ত হবে নবপ্রাণে। এর মধ্যেই মৌসুমী বাতাস সক্রিয় হতে শুরু করেছে।
কবিতা, গল্প, গানে বর্ষা তার স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যে বারবার প্রতিভাত হয়েছে। এই ঋতুতেই ফোটে কদম, কামিনি, কেয়া, বেলী, হাসনাহেনা ও গন্ধরাজ।পত্র-পুষ্প-বৃক্ষে, পত্র-পল্লবে নতুন প্রাণের সঞ্চার করবে বর্ষা। প্রকৃতির এই রূপ বদল সবাইকে জানান দেবে, বর্ষা সমাগত।
তবে গ্রামবাংলার বর্ষা আর শহুরে বর্ষায় যেন বহু তফাত। রূপে-গন্ধে, বর্ণে শহরে বর্ষাকে আবাহন করা হয় নাগরিক উৎসবের ডামাডালে। যে বৃক্ষরাজি বর্ষা নামায় এই শহরে, সেই শহরে বনানী উজাড় হয় প্রতিনিয়ত। বর্ষণমুখর দিন শেষে তাই নগরজীবনে ভোগান্তির নাম জলাবদ্ধতা। বর্ষা জনদুর্ভোগেরও কারণ হয়।
বর্ষা উৎসব: বর্ষা উৎসব উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে প্রতিবছরের মতো এবারো বর্ষা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলায়। সকাল সাড়ে সাতটায় অনুষ্ঠান শুরু হয়। উদীচীর ঢাকা মহানগরের আয়োজনে বাংলা একাডেমির নজরুল মঞ্চেও থাকছে বর্ষা উৎসব। নাচ, গান, আবৃত্তি, বর্ষাকথন থাকবে উভয় আয়োজনে।