জামিন পেলেন ত্রিপুরায় সেই দুই নারী সাংবাদিক

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

নভেম্বর ১৬, ২০২১, ০২:৩৩ পিএম

জামিন পেলেন ত্রিপুরায় সেই দুই নারী সাংবাদিক

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা নিয়ে রিপোর্ট করে গ্রেপ্তার হওয়া নারী সাংবাদিক সমৃদ্ধি সাকুনিয়া এবং স্বর্ণা ঝা জামিন পেয়েছেন। সোমবার (১৫ নভেম্বর) আদালত তাদের জামিন দেন। ভারতের অনলাইন এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

ওই দুই নারী সাংবাদিকের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার শুনানিতে আদালত বলেছেন, তাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা মারাত্মক এক অপরাধ। কিন্তু তাদেরকে আটকে রাখা তাদের ব্যক্তিগত স্বাধীনতাকে চরম মাত্রায় খর্ব করে।

আদালত ওই দুই সাংবাদিককে মুক্তির আদেশ দিয়ে বলেছে, আদালতের কাছে মনে হচ্ছে তদন্তের জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিদের আটকের প্রয়োজন থাকতে পারে না। একই কারণে, তাদেরকে পুলিশি হেফাজতে আটকে রাখারও কোনো প্রয়োজন নেই। এতে ব্যক্তিগত স্বাধীনতা চরমভাবে ক্ষুন্ন হয়।

সম্প্রতি ত্রিপুরায় একটি মসজিদে ভাঙচুরের খবর প্রকাশ করেন এই দুই সাংবাদিক। রবিবার (১৪ নভেম্বর) তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই দুই নারী সাংবাদিক বলেছেন, ত্রিপুরা থেকে তারা বিমানবন্দরের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদেরকে আটক করে পুলিশ।

গ্রেপ্তারের পর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারী তথ্য ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে ত্রিপুরা পুলিশ। এ নিয়ে আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় রিপোর্ট হয়।

আদালত তাদেরকে জামিন দিলেও রাজ্যের তথ্যমন্ত্রী সুশান্ত অধিকারী বলেছেন, ‘এই দুই নারী সাংবাদিক জনগণকে উস্কানি দিচ্ছিলেন। তারা সরকারের বিরুদ্ধে জনগণকে ক্ষেপিয়ে তুলছিলেন। অন্য একটি রাজনৈতিক দলের পক্ষে মুসলিম সম্প্রদায়কে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করছিলেন তারা।’

রাজ্যের তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘যদি তারা মাঠপর্যায় থেকে রিপোর্ট করতেন তাহলে আমাদের কোনো সমস্যা থাকতো না। কিন্তু কেন তারা উস্কানিমূলক পোস্ট দিলেন?

তিনি বলেন, অমরাবতীতে কি হয়েছে তা আমরা সবাই দেখেছি। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে রাস্তায় নেমে আসতে উস্কানি দেয়া হয়েছে। কে দিয়েছে সেই উস্কানি?

ত্রিপুরা পুলিশের এক বিবৃতিতে বলা হয়, সমৃদ্ধি সাকুনিয়ার একটি টুইট নিয়ে এই মামলা। তিনি একটি উপাসনালয় পরিদর্শন করেছেন। সেখানে বিভিন্ন অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু মিস সাকুনিয়া যে পোস্ট দিয়েছেন, তা সত্য নয়। এটা সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘৃণার সৃষ্টি করে। সেখানে ধর্মীয় কোনো ডকুমেন্ট পোড়া অবস্থায় পায়নি পুলিশ। এ জন্য ওই দুই সাংবাদিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আগরতলা ডাকা হয়েছিল। সেখান থেকেই তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু তার আগে তারা ওই ঘটনার যে ভিডিও পোস্ট করেছে, তা বানোয়াট বলে সন্দেহ করছে ত্রিপুরা পুলিশ।

Link copied!