পাকিস্তান-আফগানিস্তানের সঙ্গে ত্রিদেশীয় সংযোগ বাড়াচ্ছে চীন

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

আগস্ট ২১, ২০২৫, ১২:১৯ পিএম

পাকিস্তান-আফগানিস্তানের সঙ্গে ত্রিদেশীয় সংযোগ বাড়াচ্ছে চীন

ছবি: সংগৃহীত

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের প্রতি সব পর্যায়ে ত্রিদেশীয় সংযোগ বাড়াতে আহ্বান জানিয়েছেন বলে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

প্রতিবেশীদের সঙ্গে নিরাপত্তা সম্পর্ক জোরদারে বেইজিংয়ের চেষ্টার মধ্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

বুধবার কাবুলে ত্রিপক্ষীয় এক বৈঠকে অংশ নেওয়ার পর ওয়াং বলেছেন, চীন-পাকিস্তান-আফগানিস্তানকে কৌশলগত পারস্পরিক আস্থা গড়ে তোলা অব্যাহত রাখতে হবে এবং নিরাপত্তা সহযোগিতা আরও গভীর করতে হবে।

চীন প্রত্যেক দেশের মৌলিক স্বার্থসংক্রান্ত বিষয়ে বুঝতে ও তাতে সমর্থন দিতে প্রস্তুত; তারা একই সঙ্গে ওই অঞ্চলে বাইরের হস্তক্ষেপেরও বিরোধিতা করে, বিশেষ করে কোনো সংগঠন বা ব্যক্তি যদি অপরের জাতীয় সার্বভৌমত্বকে খর্ব করার চেষ্টা করে, বেইজিং তার কঠোর বিরোধিতা করবে, মন্ত্রী এমনটাই বলেছেন বলে বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

“নিরাপত্তা সংলাপের কাঠামোকে উন্নত করা, আইন প্রয়োগ ও নিরাপত্তা সহযোগিতা গভীর করা, আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে লড়াই জোরদার করা এবং সন্ত্রাসবাদের উর্বরভূমি উচ্ছেদ করা প্রয়োজন,” বলেছেন ওয়াং।

বিবৃতিতে কোনো সন্ত্রাসী সংগঠনের নাম উল্লেখ না করা হলেও আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির সঙ্গে ওয়াংয়ের বৈঠক নিয়ে চীনা রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সিনহুয়ার প্রতিবেদনে ইস্ট তুর্কিস্তান ইসলামিক মুভমেন্টের নাম এসেছে।

আফগানিস্তান এ ধরনের সন্ত্রাসী বাহিনীগুলোকে মোকাবেলায় তার প্রচেষ্টা জোরদার করবে বলে চীন প্রত্যাশা করছে, ওয়াং এমনটা বলেছেন বলে সিনহুয়ার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

পাকিস্তানের সঙ্গে চীনের ৫৯৬ কিলোমিটারের সীমান্ত রয়েছে, যা কারাকোরাম পর্বতমালার ভেতর দিয়ে গেছে। এটি শুরু হয়েছে আফগানিস্তানের সঙ্গে তিন দেশের সীমান্তের এক সংযোগস্থল থেকে, শেষ হয়েছে ভারতের সঙ্গে বিরোধপূর্ণ সিয়াচেন হিমবাহের নিকটবর্তী এলাকায়।

আফগানিস্তানের সঙ্গে চীন ৯২ কিলোমিটার সীমান্ত ভাগাভাগি করছে, সেখানেই আবার পাকিস্তানের গিলগিত-বালতিস্তান অঞ্চল।

মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এই দুই দেশের সীমান্তেই চীনের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় শিনজিয়াং অবস্থিত। অতীতে এই অঞ্চলে হওয়া সংঘাতের জন্য বেইজিং ইসলামী জঙ্গিগোষ্ঠী ও উইঘুর বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দায়ী করেছে, যারা স্বাধীন ইস্ট তুর্কিস্তান প্রতিষ্ঠায় লড়ছে বলে নিজেরা দাবি করে আসছে।

ওয়াং পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বলেছেন, তিন দেশের উচিত নিজেদের মধ্যে উন্নয়ন সহযোগিতা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ লেনদেন এবং নেটওয়ার্ক সংযোগ বাড়ানো উচিত।

Link copied!