সব জিম্মির মুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু করবে ইসরায়েল: নেতানিয়াহু

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

আগস্ট ২২, ২০২৫, ১২:২৩ পিএম

সব জিম্মির মুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু করবে ইসরায়েল: নেতানিয়াহু

ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে এমন শর্তে, গাজায় আটক বাকি সব জিম্মির মুক্তি এবং প্রায় দুই বছর ধরে চলা যুদ্ধ বন্ধে আলোচনা শুরু করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

মন্ত্রিসভা এরই মধ্যে গাজার উত্তরাঞ্চলের জনবহুল শহর গাজা সিটিতে সাঁড়াশি আক্রমণের পরিকল্পনাও অনুমোদন করেছে, বৃহস্পতিবার রাতে নেতানিয়াহু ইসরায়েলি সেনাদেরকে এ কথাও বলেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।

গাজা সিটিতে পরিকল্পিত এ অভিযান নিয়ে নেতানিয়াহুর সরকার ঘরে-বাইরে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে।

এর আগে সোমবার হামাস কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতাকারীদের দেওয়া ৬০ দিনের একটি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মেনে নেওয়ার কথা জানিয়েছিল। ওই প্রস্তাবে গাজায় এখন আটক জিম্মিদের অর্ধেককে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

প্রস্তাবটি নিয়ে এ কয়দিন ইসরায়েল কিছু না বললেও বৃহস্পতিবার প্রথমবার নেতানিয়াহু জানান, টেবিলে থাকা এখনকার প্রস্তাব তারা মানছেন না।

বৃহস্পতিবার রাতে ইসরায়েলি বাহিনীর গাজা ডিভিশনের সদরদপ্তর সফরে গিয়ে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, সব জিম্মির মুক্তির বিষয়ে দ্রুত আলোচনা শুরু করতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

“আমি গাজা সিটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়া ও হামাসকে পরাজিত করতে প্রতিরক্ষা বাহিনীর পরিকল্পনায় অনুমোদন দিতে এসেছি।

“দুটি বিষয়, হামাসকে পরাজিত করা ও সব জিম্মির মুক্তি, দুটোই একসঙ্গে চলবে,” বলেছেন তিনি।

আলোচনার স্থান ঠিক হলেই ইসরায়েল আলোচক পাঠাবে বলে এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

ইসরায়েল আলোচনার ব্যাপারে ‘সবুজ সঙ্কেত’ দিলেও শেষ পর্যন্ত ওই আলোচনা হয় কিনা, হলেও তা যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে পৌঁছায় কিনা তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে।

হামাস চাইছে, গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার।

অন্যদিকে তেল আবিবের দাবি, এখন আর ধাপে ধাপে নয়, সব জিম্মিকে একসঙ্গে ছাড়তে হবে। যুদ্ধ বন্ধে তাদের শর্ত হচ্ছে, হামাসকে অস্ত্র সমর্পণ করতে হবে, গাজার নিরস্ত্রীকরণ, গাজার চারপাশজুড়ে ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণ এবং ভূখণ্ডটি শাসনে হামাস বা প্যালেস্টাইন কর্তৃপক্ষ (পিএ) বিহীন কোনো কর্তৃপক্ষ বসানো।

হামাস অস্ত্র সমর্পণে নারাজ।

২০২৩ সালের অক্টোবরে হামাস ইসরায়েলে হামলা চালানোর সময় আড়াইশ জনকে জিম্মি করেছিল। তার মধ্যে অনেকে মারা পড়েছে, কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা যুদ্ধবিরতির মধ্যে হামাস কয়েক ডজনকে ছেড়েও দিয়েছে। এরপরও গাজায় এখন জীবিত ২০ জিম্মি আছে বলে ধারণা তেল আবিবের। 

Link copied!