মালয়েশিয়ার সাধারণ নির্বাচনে আবারও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন ৯৭ বছর বয়সী দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ মাহাথির মোহাম্মদ। নির্বাচনে তার দল জয়লাভ করলে প্রধানমন্ত্রীর দৌড়েও তিনি থাকবেন।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাজধানী কুয়ালালামপুরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আধুণিক মালয়েশিয়ার জনক মাহাথির মোহাম্মদ এ ঘোষণা দেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের শুরুতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন মালয়েশিয়ার এই সাবেক প্রধানমন্ত্রী।তারপরও নির্বাচনের জন্য নিজেকে ফিট বলে বলে মনে করছেন তিনি। বলছেন, নির্বাচনে অংশ নিতে এখন তিনি যথেষ্ট প্রস্তুত।
ক্ষমতাসীন জোটে দীর্ঘদিন ধরে চলা রাজনৈতিক দ্বন্ধের মধ্যে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল সাবরি ইয়াকুব গত ১০ অক্টোবর পার্লামেন্ট ভেঙ্গে দেন। এ ঘোষণার পরই মাহাথির মোহাম্মদ আবারও রাজনীতির মাঠে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন।
নির্বাচনে জয়লাভ করলে তিনি প্রধানমন্ত্রী হবেন কিনা-সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মাহাথির বলেন, “কে প্রধানমন্ত্রী হবেন, সেই সিদ্ধান্ত আমরা নিইনি। কারণ আমরা যদি নির্বাচনে জয়ী হই, কেবল তবেই প্রধানমন্ত্রী প্রার্থীর বিষয়টি সামনে আসবে।”
আসছে বছরের সেপ্টেম্বরে দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও পার্লামেন্ট ভেঙ্গে দেওয়ায় আগাম নির্বাচন হবে দেশটিতে। মালয়েশিয়ার সংবিধান অনুযায়ী,পার্লামেন্ট বিলুপ্তির ৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। খুব শিঘ্রই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন নির্বাচন কমিশন।
বিশ্বের সবচেয়ে প্রবীণ রাজনীতিবিদ মাহাথির মোহাম্মদ। পুরো নাম ডা. তুন মাহাথির মোহাম্মদ। আধুনিক মালয়েশিয়ার স্থপতি বলা হয়ে থাকে দেশটির প্রবীণ এই নেতাকে।
১৯৬৪ সালে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য হন মাহাথির মোহাম্মদ। ১৯৮১ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত টানা ২২ বছর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। মালয়েশিয়ার দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং রূপান্তরের জন্য তাকে কৃতিত্ব দেওয়া হয়।
২০১৮ সালে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাককে সরাতে আবারও নির্বাচনে অংশ নেন তিনি। এক সময়ের রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী আনোয়ার ইব্রাহিমের সহায়তায় ২০১৮ সালে নির্বাচনে জিতে আবারও দেশটির প্রধানমন্ত্রী হন মাহাথির। তবে, ক্ষমতাসীন জোটের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রীত্ব থেকে পদত্যাগ করেন তিনি।