আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল বিমানবন্দরে জোড়া বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় ২৮ জন তালেবান সদস্য হতাহতের তথ্য অস্বীকার করেছে সংগঠনটির মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ।
শুক্রবার (২৭ আগস্ট) বিবিসির পশতু সার্ভিসকে এই তথ্য জানিয়েছেন সংগঠনটির মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ। তবে এর আগে তালেবানের এক সদস্য বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছিলেন, তাদের ২৮ সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন হামলায়।
এসময় তালেবান মুখপাত্র বলেন, 'আমাদের কেউ হতাহত হননি। এই জোড়া বিস্ফোরণ মার্কিন বাহিনী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় হয়েছে।'
এর আগে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তালেবান কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছিলেন, 'কাবুলে বিস্ফোরণের ঘটনায় ২৮ তালেবান সদস্য নিহত হয়েছে। আমরা আমেরিকার চেয়ে বেশি লোক হারিয়েছি।'
এর আগে বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেছে আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) খোরাসান প্রদেশ শাখা।
আইএসের বিবৃতিতে বলা হয়, আইএস-এর একজন আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর সঙ্গে থাকা অনুবাদক ও সহযোগীদের লক্ষ্য করে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।
এসময় এক সন্ত্রাসীর ছবি প্রকাশ করা হয়। ওই ছবিতে দেখা যায়, আইএসের কালো রঙের পতাকার সামনে বিস্ফোরক বেল্ট পরে দাঁড়িয়ে আছে সেই সন্ত্রাসী। তার মুখমণ্ডলও কালো কাপড়ে ঢাকা। কেবল চোখই দেখা যাচ্ছিল। হামলাকারীর নাম আবদুল রহমান আল-লোগারি বলে উল্লেখ করেছে আইএস। নাম থেকে মনে করা হচ্ছে, হামলাকারী আফগান ছিলেন।
আইএসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিস্ফোরক বেল্ট পরিহিত ওই সন্ত্রাসী তালেবান নিয়ন্ত্রিত নিরাপত্তা চৌকি পেরিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা, দোভাষী ও সহযোগীদের জটলার পাঁচ মিটারের মধ্যে ঢুকে পড়ে এবং বিস্ফোরণ ঘটায়। এ বিস্ফোরণে হতাহতদের মধ্যে তালেবান সদস্যরাও আছেন।
এর আগে এই বিস্ফোরণের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও আইএসকেই দায়ী করেছে। ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর হোয়াইট হাউজে ব্রিফিংকালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হামলাকারীদের খুঁজে বের করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে আত্মঘাতী হামলাকারীদের কোন ছাড় দেবে না যুক্তরাষ্ট্র।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম রয়টার্সের এক খবরে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বাইরে আত্মঘাতী ওই জোড়া বিস্ফোরণে ১৩ মার্কিন সেনাসহ অন্তত ১০৩ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া ১৪০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছে।
সূত্র: বিবিসি।