যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র গণবিধ্বংসী অস্ত্রের মতো। এমন তুলনা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক প্রতিদ্বন্দ্বী চীন। স্থানীয় সময় শনিবার (১১ ডিসেম্বর) চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এমন কথা বলা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র সম্মেলন যেখানে চীন আমন্ত্রিত হয়নি তা শেষ হতে না হতেই চীনের পক্ষ থেকে এমনটি বলা হলো।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেন, “মার্কিন গণতন্ত্র দীর্ঘদিন ধরেই গণবিধ্বংসী অস্ত্র হয়ে উঠেছে, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশে হস্তক্ষেপ করতে ব্যবহার করে।”
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র মতাদর্শগত কুসংস্কারের লাইন আঁকতে, গণতন্ত্রকে কৌশলীকরণ করার লক্ষ্যেই গণতন্ত্র সম্মেলনের আয়োজন করে।”
দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র সম্মেলনে অংশ নেয়নি চীন ও রাশিয়া। দেশ দুটির অভিযোগ, স্নায়ুযুদ্ধের সময়কার আদর্শগত বিভাজন উসকে দিচ্ছে বাইডেন।
যুক্তরাষ্ট্র বরাবরই চীনের সঙ্গে স্নায়ুযুদ্ধের কথা অস্বীকার করে। তবে মানবাধিকার, বাণিজ্য ও তাইওয়ান নিয়ে চীনের সঙ্গে বিরোধ রয়েছে দেশটির।