ছবি: সংগৃহীত
সম্প্রতি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতির পদ হারিয়েছেন ফারুক আহমেদ। তার জায়গায় নতুন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল। হঠাৎ এ অপসারণ মানতে পারছেন না ফারুক আহমেদ।
অপসারণের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে গতকাল রোববার হাইকোর্টে রিট করেছেন ফারুক। পাশাপাশি নতুন সভাপতি বুলবুলের নিয়োগের সিদ্ধান্তকেও চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে ওই রিট আবেদনে। কিন্তু রিটটি (আউট অফ লিস্ট) কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার, ০২ জুন বিসিবির সদ্য সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদের করা রিটের শুনানি শেষে বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ রিটটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন।
আদালতে ফারুক আহমেদের রিটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো: আসাদুজ্জামান। বিসিবির পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম।
এর আগে গত ২৯ মে বিপিএল সংক্রান্ত সত্যানুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদন এবং নয়জন বোর্ড পরিচালকের আটজনের অনাস্থা বিবেচনায় নিয়ে বিসিবির পরিচালক পদে ফারুকের মনোনয়ন বাতিল করে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। ফলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সভাপতির পদ হারান তিনি।
পরদিন ৩০ মে আমিনুল ইসলামকে বিসিবির পরিচালক মনোনীত করে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। পরে বিকালে বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের সভায় নতুন সভাপতি হন তিনি।পরিচালকদের ভোটে সর্বসম্মতিক্রমে নিয়োগ পান তিনি। এই দুই সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে ফারুক আহমেদ রিটটি করেছিলেন।
রিটের প্রার্থনায় দেখা যায়, গত ২৯ মে ও ৩০ মের সিদ্ধান্ত কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছে রিটে। আর রুল হলে তা বিচারাধীন অবস্থায় ওই দুই সিদ্ধান্তের কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়েছে। যুব ও ক্রীড়া সচিব এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডসহ পাঁচজনকে বিবাদীকে করা হয়েছে রিটে।