চীনের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ঘনিষ্ট আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত কমিউনিস্ট পার্টির নেতা লি কিয়াং। এর আগে, তৃতীয়বারের মতো দায়িত্ব নেওয়া প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ৬৩ বছর বয়সী এই কমিউনিস্ট নেতাকে বেছে নেন।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার সকালে বেইজিংয়ে দেশটির পার্লামেন্ট ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে লি কিয়াংয়ের মনোনয়ন প্রস্তাবের পরই তিনি শপথ নেন।এর আগে ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন লি কেকিয়াং। তারই স্থলাভিষিক্ত হলেন লি কিয়াং।
শি জিনিপিং পূর্বাঞ্চলীয় ঝেজিয়াং প্রদেশের ২০০৪ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক থাকাকালীন ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত ছিল লি কিয়াং। তা ছাড়া চীনের সবচেয়ে বড় শহর সাংহাইয়ের কমিউনিস্ট পার্টির প্রধানও ছিলেন লি কিয়াং।
গত অক্টোবরে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির কাউন্সিলে লি কিয়াংকে পলিট ব্যুরো স্ট্যান্ডিং কমিটিতে দ্বিতীয় শীর্ষ পদে আনা হয়। তখনই ধারণা করা হয়েছিল পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন তিনি।
অন্যদিকে পাঁচ বছর করে দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালনকারী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী কেকিয়াং আগামী সোমবার অবসর নেবেন।
প্রযুক্তিতে চীনের অগ্রযাত্রাকে ঠেকাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপসহ পশ্চিমাদের সাথে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ার মধ্যেই লি দায়িত্ব গ্রহণ করলেন। লি কিয়াং হলেন গণপ্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রথম প্রধানমন্ত্রী যিনি আগে কখনও কেন্দ্রীয় সরকারে কাজ করেননি।
বিশ্লেষকদের মতে, প্রধানমন্ত্রী হিসাবে লির প্রধান কাজ হবে মহামারী থেকে উদ্ভূত চীনের মন্থর অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করা। এছাড়াও তাকে রপ্তানির জন্য দুর্বল বৈশ্বিক চাহিদা, মার্কিন শুল্ক বৃদ্ধি, একটি সঙ্কুচিত শ্রমশক্তি এবং বয়স্ক জনসংখ্যার মোকাবিলা করতে হবে।
সংসদীয় অধিবেশন শেষ হওয়ার পরে মিডিয়ার সাথে প্রধানমন্ত্রীর ঐতিহ্যগত প্রশ্নোত্তর অধিবেশন চলাকালীন সোমবার আন্তর্জাতিক মঞ্চে তার অভিষেক হবে বলে জানা গেছে।