সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্বজুড়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে চীনভিত্তিক শর্ট-ভিডিও শেয়ারিং মাধ্যম টিকটক। এর পাশাপাশি প্রায়ই নানা আলোচনা-সমালোচনার পাত্রও হয়েছে এটি। যা বেশিরভাগ সময়ই ছিল নেতিবাচক। সম্প্রতি শিশুদের নিরাপত্তা প্রদানে ব্যর্থতার কারণে টিকটককে ৩৪ কোটি ৫০ লক্ষ ইউরো জরিমানা করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা।
আয়ারল্যান্ডের ডেটা প্রোটেকশন কমিশনের (ডিপিসি) এক অনুসন্ধানে জানা যায়, ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সী ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা বজায়, সঠিক বয়স যাচাই ও ফ্যামিলি পেয়ারিংয়ে ব্যর্থতা অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে, যা ইউরোপীয় ইউনিয়নের ডেটা আইনের লঙ্ঘন। তাই প্রতিষ্ঠানটিকে এ জরিমানা করেছে ডিপিসি।
২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে থেকেই টিকটককে নিয়ে এই তদন্ত শুরু হয়। যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
টিকটকে অপ্রাপ্তবয়স্কদের নতুন প্রোফাইল তৈরির ক্ষেত্রে, প্রোফাইলের তথ্য বাই-ডিফল্ট ভাবে সবার জন্য উন্মুক্ত থাকে যাতে যে কেউ চাইলে তাদের ব্যক্তিগত তথ্য দেখতে পারে। এছাড়াও ২০২০ সালে টিকটক অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ‘ফ্যামিলি পেয়ারিং` সুবিধা সংযুক্ত করে যাতে সেই শিশুর একাউন্ট পরিবারের প্রাপ্তবয়স্ক কোনো সদস্যের একাউন্টের সাথে যুক্ত করে রাখা যাবে। পরিবারের সেই সদস্য তার স্ক্রিন টাইম থেকে শুরু করে অন্যান্য সেটিংস পরিবর্তন করতে পারবে।
তবে অনুসন্ধানে দেখা যায়, পরিবারের সদস্যের সাথে একাউন্ট যুক্ত করার ক্ষেত্রে কোন প্রকার যাচাই-বাছাই করে না প্রতিষ্ঠানটি।
ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি ও শেয়ারিংয়ের দিক দিয়ে টিকটক বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় অ্যাপ। প্রতি মাসে বিশ্বজুড়ে ১০০ কোটিরও বেশি ব্যবহারকারী রয়েছে এর। অ্যাপটি ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রায় ৩৫০ কোটি বারের বেশি ডাউনলোড করা হয়েছে । বিগত কয়েকবছর ধরেই চীনা এই অ্যাপের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ব্যবহারকারীদের তথ্য সংগ্রহের অভিযোগ করে আসছে বিভিন্ন সাইবার সিকিউরিটি সংস্থা।