ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২১, ১০:২০ এএম
‘কিং ব্যাক’ খ্যাত জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক ও দেশসেরা ডিফেন্ডার মোনেম মুন্নার ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০০৫ সালে এই দিনে পরপারে পাড়ি জমান দেশের ফুটবল ইতিহাসের এই অন্যতম তারকা। কিডনির বিভিন্ন সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে এদিনেই তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
ক্ষণজন্মা এই ফুটবলারের স্মরণে আজ নানা কর্মসূচি পালন করছে মোনেম মুন্না স্মৃতি সংসদ ও পরিবারের সদস্যদরা। মোনেম মুন্না স্মৃতি সংসদ থেকে জানানো হয়, ‘সকালে মোনেম মুন্নার কবর জিয়ারতের পাশাপাশি একটি শোক র্যালি হবে। বিকেলে কোরআন খতম ও দোয়ার আয়োজন করা হবে। এছাড়া নারায়ণগঞ্জে মুন্নার বাড়িতে পরিবারের পক্ষ থেকে থাকছে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন।’
১৯৬৮ সালের ৯ জুন নারায়ণগঞ্জের বন্দরে জন্মেছিলেন মোনেম মুন্না। ১৯৮০-৮১ মৌসুমে পাইওনিয়ার ফুটবল লিগ দিয়ে যাত্রা শুরু হয় ফুটবলে। মুক্তিযোদ্ধা হয়ে ১৯৮৬ সালে ব্রাদার্সে এক মৌসুম খেলেই আবাহনীতে যোগ দেন। সেখানেই একে একে অনেক মৌসুম পার করে দেন। ক্যারিয়ারও শেষ করেছেন আকাশি-হলুদ জার্সি গায়েই। আবাহনীকে পাঁচবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ও তিনটি ফেডারেশন কাপ জিতিয়েছেন।
১৯৯১ সালে দলবদলে সর্বোচ্চ ৩০ লাখ টাকার পারিশ্রমিক পেয়েও আবাহনী ছাড়েননি। বরং ২০ লাখ টাকায় থেকে যান প্রিয় দল আবাহনীতে। শুধু কি আবাহনীর হয়ে সাফল্য পেয়েছেন! ১৯৮৬ থেকে জাতীয় দলেও দাপটের সঙ্গে খেলেছেন ১১ বছর। ক্লাবের পাশাপাশি জাতীয় দলেও অধিনায়কত্ব করেছেন। আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ প্রথম শিরোপা জেতে মুন্নার হাত ধরে। ১৯৯৫ সালে মিয়ানমারে চার জাতি ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ।
মোনেম মুন্না সম্পর্কে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক জার্মান কোচ অটো ফিস্টার বলেছিলেন, ‘হি ওয়াজ মিসটেকেইনলি বর্ন ইন বাংলাদেশ’। অর্থাৎ ‘মুন্না ভুলবশত বাংলাদেশ জন্মগ্রহণ করেছে।’
২০০৫ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি মাত্র ৩৭ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন মোনেম মুন্না। তার অকালে চলে যাওয়াটা সে সময় দেশের ক্রীড়াঙ্গনের বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছিল। প্রতি বছর ১২ ফেব্রুয়ারি আসলে আজও মোনেম মুন্নাকে স্মরণ করে হাজারো ভক্ত ও অনুরাগী।