‘শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার-২০২১’ এর আজীবন সম্মাননা পুরস্কার পাচ্ছেন সাবেক ফুটবলার ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন। দেশের ফুটবলে কিংবদন্তি তিনি। এছাড়া ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করছেন দীর্ঘদিন ধরে। আবাহনীর প্রতিষ্ঠাকালীন খেলোয়াড় ছিলেন তিনি।
এদিকে ওয়ালটন গ্রুপ দেশের প্রায় প্রায় সবগুলো ক্রীড়া ফেডারেশন, বোর্ড ও অ্যাসোসোসিয়েশনের সঙ্গে কাজ করছে। ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট, ফুটবল, হকি, ভলিবল, হ্যান্ডবল থেকে শুরু করে নৌকাবাইচ, বলিখেলাসহ গ্রামীণ খেলাধুলায়ও পৃষ্ঠপোষকতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে ওয়ালটন। খেলাধুলাকে এগিয়ে নিতে এই পৃষ্ঠপোষকতা গেল প্রায় ১ যুগ ধরে করে আসছে ক্রীড়াবান্ধব প্রতিষ্ঠানটি। অবশেষে সেটার স্বীকৃতি পেলো ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিকস পণ্য উৎপাদন ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানটি। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রথমবারের মতো প্রবর্তিত ‘শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার-২০২১’ এর জন্য মনোনীত হয়েছে ওয়ালটন গ্রুপ।
ওয়ালটন গ্রুপসহ এই পুরস্কারের জন্য ৭ টি ক্যাটাগরিতে মোট ১০ জন ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব ও দুইটি প্রতিষ্ঠানকে মনোনীত করা হয়েছে। বুধবার (৪ আগস্ট) এক সংবাদ সম্মেলনে মনোনীত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম ঘোষণা করা হয়। পুরস্কার হিসেবে প্রত্যককে ১ ল টাকা, ক্রেস্ট ও সম্মাননা সনদ দেওয়া হবে।
আজ বেলা ১১টায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের শেখ কামাল মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পুরস্কার মনোনীতদের পুরস্কার প্রদান করবেন। এমনটাই জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল, এমপি।
তিনি বুধবার (৪ আগস্ট) সকালে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সভাকে আয়োজিত যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কর্তৃক শহীদ শেখ কামালের ৭২তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন ও শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার-২০২১ প্রদান অনুষ্ঠান উপলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা জানান। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল ছিলেন একজন স্বাপ্নিক তরুণ। বাংলাদেশের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনে তার অবদান অনস্বীকার্য। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে প্রচলিত সনাতনী ক্রীড়া-উন্নয়ন ধারনা থেকে বেরিয়ে এসে তিনি বাংলাদেশের আধুনিক ও আন্তর্জাতিকমানের ক্রীড়া প্রবর্তনে প্রয়াসী হয়েছিলেন। অসাধারণ সাংগঠনিক দতায় তিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন আবাহনী ক্রীড়া চক্র। ব্যক্তিগত প্রজ্ঞা ও নিজস্ব ক্রীড়া ভাবনায় এদেশে আধুনিক ফুটবলের পথিকৃৎ তিনি। ক্রীড়ানুরাগী, সংস্কৃতিমনা, তারুণ্যদীপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামাল মহান মুক্তিযুদ্ধে সম্মুখ সমরে অংশগ্রহণ করেছেন। জাতির এ কীর্তিমান তরুণ শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের অবদানকে স্বরণীয় এবং তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধার নিদর্শনস্বরুপ ক্রীড়ার বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমরা ‘শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার’ প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি। পুরস্কার প্রদানের ৭টি ত্রে সমূহ হচ্ছে ক) আজীবন সম্মাননা, খ) খেলোয়াড়/ক্রীড়াবিদ, গ) ক্রীড়া সংগঠক, ঘ) উদীয়মান খেলোয়াড়/ক্রীড়াবিদ, ঙ) ক্রীড়া সাংবাদিক, চ) ক্রীড়া অ্যাসোসিয়েশন/ফেডারেশন/ক্রীড়া সংস্থা, ছ) ক্রীড়া পৃষ্ঠাপোষক/স্পন্সর।’ যোগ করেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ক্রীড়াঙ্গনের বিভিন্ন শাখায় অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ নীতিমালার আলোকে সংশ্লিষ্ট কমিটি কর্তৃক পুঙ্খনাপুঙ্খরূপে যাচাইবাছাই পূর্বক আমরা প্রথমবারের মতো ৭টি ক্যাটাগরিতে মোট ১২ জন ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব ও প্রতিষ্ঠানকে শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার’ ২০২১ প্রদান করছি। আমি প্রথমবারের মতো সম্মানজনক এ পুরস্কারের জন্য মনোনীত সকলকে অগ্রীম শুভেচছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমি বিশ্বাস করি এ পুরস্কার ক্রীড়া সংশ্লিষ্ট সকলকে ভবিষ্যতে ক্রীড়াক্ষেত্রে আরো ভালো কাজ করতে উৎসাহ যোগাবে।’
অনুষ্ঠানে জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আখতার হোসেন বলেন, ‘শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭২ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কর্তৃক বিস্তৃত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
সেরা ক্রীড়াবিদ হিসেবে মনোনীত হন আর্চার রোমান সানা, ভারোত্তোলক মাবিয়া আক্তার সীমান্ত ও সাতারু মাহফুজা খাতুন শিলা। ক্রীড়া সংগঠক-শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের সাবেক সভাপতি মনজুর কাদের ও কারাতে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ক্য শৈ হা।
উদীয়মান খেলোয়াড় ক্রিকেটার আকবর আলী, দাবার মো. ফাহাদ রহমান ও নারী ফুটবলার উন্নতি খাতুন। ক্রীড়া এসোসিয়েশন-ফেডারেশন-বিসিবি, ক্রীড়া সাংবাদিক- মো. কামরুজ্জামান এবং ক্রীড়া পৃষ্ঠপোষক ও স্পন্সর প্রতিষ্ঠান হিসেবে চূড়ান্তভাবে মনোনীত হয়-ওয়ালটন।