ইংল্যান্ডের ঘরে নয়। ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ গেল ইতালির ঘরে। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা ১-১ সমতায় থাকার পর খেলা অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে গড়ায়। সেখানে ফল পরিবর্তন না হলে টাইব্রেকে যায় ম্যাচ। আর সেখানে ইতালি ৩-২ গোলে হারায় ইংল্যান্ডকে। লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ৬০ হাজার সমর্থক হতাশায় ভেঙে পরেন। প্রত্যাশা ছিল তাদের এবার ঘরে ফিরবে শিরোপা। সেটা হলো না।
৫৫ বছর পর শিরোপা জয়ের সুযোগ এসেছিল ইংল্যান্ডের সামনে। সেখানে ব্যর্থ হলো ইংল্যান্ড। ইতালি দ্বিতীয়বারের মত ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ জয় করেছে। ইংল্যান্ড এবারই প্রথম ফাইনালে উঠেছিল ইউরোর। আশায় ছিল তারা। ‘ইটস কামিং হোম’ বলে স্বপ্নে ছিল বিভোর। সে স্বপ্ন ভেঙে গেছে। ৫৩ বছর পর ইউরো জিতল ইতালি। ৪টি বিশ্বকাপ ও ২টি ইউরো নিয়ে বড় আসরে শিরোপা সংখ্যা এখন ইতালির ৬টি।
টাইব্রেকে নাটকীয়তা ছিল ম্যাচের মত। ইংল্যান্ডের গোলরক্ষক ২টি সেভ করেন। কিন্তু ইংল্যান্ডের মার্কাস রাশফোর্ড, জেডন সানচো ও বুয়াকো সাকা গোল করতে ব্যর্থ হন। ইতালিয়ার গোলরক্ষক ডোনারুমা অসাধারণ পারফর্ম করেছেন। সেমিফাইনালেও তিনি স্পেনকে রুখে দিয়েছিলেন।
ইতালি এখন টানা ৩৪ ম্যাচ অপরাজিত রয়েছে। তবে শুরুটা করেছিল ইংল্যান্ড। ফাইনালের দ্বিতীয় মিনিটে ট্রিপিয়ারের চমৎকার ক্রস বক্সে দাঁড়িয়ে শট করে গোল করেন লুক শ। ইতালি শুরুতেই গোল হজম করে চমকে যায়। এরপর ইংল্যান্ডের আক্রমণ শুরু হয়। ইতালি ম্যাচ গোছাতে সময় নিয়েছে অনেক। প্রথমার্ধ শেষে ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল ইংল্যান্ড। ম্যাচের ৬৭ মিনিটে কর্ণার থেকে ভেসে আসা বল জালে পাঠিয়ে দেন ইতালির লিওনোর্দো বোনুচ্চি। কিয়েজা এরপর দারুণ সব শট নিলেও গোল আর হয়নি। ৯০ মিনিটে ১-১ সমতায় শেষ হয় ম্যাচ। অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে ইংল্যান্ড তরুণ খেলোয়াড়দের বদলি হিসেবে নামায়। এতেও লাভ হয়নি। ফলে টাইব্রেকে যায় ম্যাচ। ইংল্যান্ড সেখানে ৫টির ৩টিই মিস করে। রাশফোর্ডের টা পোস্টে লেগে ফিরে যায়। সানচোকে রুখে দেন ডোনারুমা। আর সাকার টা রুখে দিয়ে ইতালির জয় নিশ্চিত করেন এই গোলরক্ষক। ইতালির বেলোত্তি ও জর্জিনো মিস করেছিলেন।