গরম বাড়তেই করোনা-আতঙ্ক আবারও বাড়ছে। আর তাই চিকিৎসকেরা বলছেন, করোনার টিকা নেওয়ার পরেও করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা পুরোপুরি যায় না। ফলে টিকা নেওয়া হোক, বা না-ই হোক, মাস্ক পড়ার বিকল্প নেই।
এর সাথে স্যানিটাইজার ব্যবহারের পরাপর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়াও সবজায়গায় সামাজিক দুরত্ব,অন্তত ২ মিটার দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
কিন্তু কোন মাস্ক করোনা সংক্রমণ রোখার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি কার্যকর? কিছুদিন আগে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’র মহামারী বিশেষজ্ঞ মারিয়া ভ্যান কেরখোভ জানান, যে ক্ষেত্রে নিয়ম মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব নয়, সে ক্ষেত্রে সাধারণ কাপড়ের মাস্কেও বদলে এন-৯৫ মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। কারণ এন-৯৫ মাস্ক ৯৫ শতাংশ ধূলিকণা ও জীবানুকে নাকে-মুখে ঢোকার হাত থেকে রক্ষা করতে সক্ষম।
এছাড়াও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিনসিনাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের দাবী, সিল্ক বা রেশম কাপড়ে জীবানু প্রতিরোধের ক্ষমতা সাধারণ কাপড়ের তুলনায় অনেক বেশি। তাই সিল্ক বা রেশম কাপড় দিয়ে তৈরি মাস্কে জীবানু প্রতিরোধের ক্ষমতাও আর পাঁচটা সাধারণ কাপড়ের মাস্কের তুলনায় অনেক বেশি।
সিনসিনাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োলজি বিভাগের সহকারি অধ্যাপক প্যাট্রিক গুয়েরা জানান, সিল্ক বা রেশম কাপড়ে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিব্যাক্টিরিয়াল, অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল এবং অ্যান্টিভাইরাল উপাদান মজুদ রয়েছে। কারণ, রেশম উৎপন্নকারী বিশেষ শুঁয়োপোকা তুঁত গাছের পাতা খেতে ভালবাসে। তুঁতে প্রচুর পরিমাণে তামা থাকে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই রেশমের গুটি বা রেশম কাপড়ের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি থাকে।
গবেষকদের দাবি, একমাত্র সিল্কের মধ্যেই এমন উপাদান রয়েছে যা এন-৯৫ মাস্কের মতোই ক্ষতিকারক ভাইরাস কণাকে প্রতিহত করতে সক্ষম। সিল্কের মাস্ক খুবই আরামদায়ক আর এতে নিশ্বাস নেওয়ার ক্ষেত্রেও কোনও সমস্যা হয় না। ফলে করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে সিল্কের মাস্ক এন-৯৫ মাস্কের মতোই কার্যকর অথচ এন-৯৫ মাস্কের চেয়ে অনেক সহজলভ্য বিকল্প হতে পারে।
এরপরে আসে সার্জিক্যাল মাস্ক, সাধারণ কাপড়ের মাস্ক ও অন্যান্য মাস্কের কথা।
