ঢাকায় করোনা ইউনিটে খালি মাত্র ৩টি আইসিইউ বেড

নিজস্ব প্রতিবেদক

মার্চ ২৭, ২০২১, ০৭:১২ পিএম

ঢাকায় করোনা ইউনিটে খালি মাত্র ৩টি আইসিইউ বেড

দেশে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে রোগী ভর্তির চাপ বাড়ছে বিভিন্ন হাসপাতালে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের সর্বশেষ তথ্য বলছে, রাজধানীতে করোনা চিকিৎসা সেবা দেওয়া ১০টি সরকারি হাসপাতালের ১০৮টি আইসিইউর মধ্যে ৭ টি খালি রয়েছে। তবে এর মধ্যে ৪ টি বিশেষায়িত রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে হওয়ায় সাধারণ মানুষের জন্য আইসিইউ বেড খালি রয়েছে মাত্র ৩ টি।

করোনা চিকিৎসার বর্তমান পরিস্থিতি

বর্তমানে সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে প্রায় ৬০ টি করোনা আইসিইউ খালি থাকলেও কেবিন, সাধারন বেডে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি রোগী রয়েছে বলে জানায় বিভিন্ন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। রাজধানীতে শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার, সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ টি করে আইসিইউ খালি আছে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত।

গত শুক্রবার (২৬ মার্চ) নতুন করে ৩ হাজার ৭৩৭ জন করোনা শনাক্ত হয়েছে। আর মৃতের সংখ্যা ৩৩ জন। এই রোগী বৃদ্ধির প্রবণতা থাকলে দ্রুতই সকল ইউনিটের আসন সংকটে পুনরায় পড়তে হবে বলে জানায় সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে ১০টি বেসরকারি হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য ৫৩ টি ইউনিট।  ১৮৩টি আইসিইউ বেডের মাঝে ৫৩টি এখন পর্যন্ত ফাঁকা আছে। অর্থাৎ প্রতিষ্ঠানগুলোতে এখন ১৩০ জন রোগী আইসিইউ ইউনিটে ভর্তি আছেন।

রাজধানীর বাইরে চট্টগ্রাম মহানগরীর তালিকাভুক্ত সরকারি চার হাসপাতালে আইসিইউ রয়েছে ২৫টি, তার মধ্যে রোগী ভর্তি আছেন ১৪ জন। বেসরকারি তিনটি হাসপাতালের ২০টি শয্যায় রোগী ভর্তি আছেন ১০ জন। অন্যদিকে সারাদেশে করোনা রোগীদের জন্য আইসিইউ রয়েছে ৫৬৯টি। এর মধ্যে রোগী ভর্তি আছেন ৩৩৯ জন। ফাঁকা রয়েছে ২৩০টি বেড।

করোনা পরিস্থিতি অবনতির কারন?

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে সাম্প্রতিক করোনা পরিস্থিতি খারাপে দিকে। আর এমন অবস্থায় যুক্তরাজ্য ও দক্ষিণ আফ্রিকার ভ্যারিয়েন্টের পাওয়া যাওয়ার সংবাদ আশঙ্কাজনক। একইসঙ্গে দেশের মানুষ যদি এখনও স্বাস্থ্যবিধি এড়িয়ে চলে, মাস্ক না পরে তবে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে। তখন হাসপাতালে জায়গা দেওয়া সম্ভব নাও হতে পারে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও গবেষণা) অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য যুক্তরাজ্যের ভ্যারিয়েন্ট একটা কারণ হতে পারে। তবে মূল কারণ কখনোই না। এক্ষেত্রে সংক্রমণ বাড়ার জন্য মূলত দায়ী আমাদের জীবনাচরণে স্বাস্থ্যবিধিকে গুরুত্ব না দেওয়া। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া জনসমাগম এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এই মুহূর্তে খুবই জরুরি এবং একইসঙ্গে মাস্ক পরাটাও। ভ্যাকসিন দেওয়ার পড়েও অনেকে রিল্যাক্স হয়ে ঘুরছে। এটাও বিপজ্জনক হয়ে উঠছে আমাদের জন্য। কারণ, ভ্যাকসিন দিলেই সবার মাঝে অ্যান্টিবডি গড়ে উঠবে আর করোনা সংক্রমণ হবে না- এমনটা কিন্তু কোথাও বলা হয় নাই।

 

Link copied!