ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন।
জাতীয় বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দে পুরোপুরি ব্যয় করা হচ্ছে না। ফলে ব্যয় না হওয়া অর্থসহ বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে জাতীয় স্বাস্থ্য ফান্ড গঠন করা প্রয়োজন। ফলে চিকিৎসার অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে যেন বাড়তি কোন বোঝা না পোহাতে হয় কারও। নাগরিক বিকাশ ও কল্যাণ (নাবিক), বাংলাদেশ কো –ক্রিয়েশন ও হ্যাপি ভেঞ্চার্সের সহায়তায় জনবান্ধবের বাজেট ভাবনায় বাজেটে স্বাস্থ্যখাত শীর্ষক আলোচনায় এ কথা বলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ।
ধারণাপত্র উপস্থাপনকালে তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্য খাতে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছিল ৪১ হাজার ৪০৮ কোটি টাকা। এটি প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটের ৫ দশমিক ১৯ শতাংশ। চলতি বছরেও হয়ত এমন রাখা হবে।
তবে মূল বিষয় হচ্ছে স্বাস্থ্য খাতে যে বাজেট থাকে সেই বাজেটের পুরোপুরি আমরা ব্যবহার করতে পারিনি। ২০২২-২৩ অর্থবছর বাজেটে ৩৬ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ থাকলেও সংশোধিত বাজেটে ২৯ কোটি টাকা বরাদ্দ দেখানো হয়। কিন্তু বাস্তবে আমরা খরচ করতে পেরেছি মাত্র ২২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। ফলে বোঝা যাচ্ছে যে ধরনের বাজেট আমাদের রয়েছে সেগুলো পুরোপুরি টাকা খরচ করতে পারছি না।
এদিকে দেখা যায় বাজেটে রেভিনিউ বাজেট তেমন কমানো না হলেও উন্নয়ন বাজেটে খরচের পরিমান অনেক কম উল্লেখ করে তিনি বলেন , দূর্নীতি স্বাস্থ্যখাতে বড় সমস্যা কিন্তু আরেকটি বিষয় হচ্ছে দক্ষতা মেলমন্ধন হওয়া। অনেক ক্ষেত্রে হাসপাতালে সার্জন আছে কিন্তু অ্যানেস্থেলজিস্ট নেই। ফলে এই ঘাটতি পূরণ হয়না।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার (দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া) সাবেক উপদেষ্টা ড. মোজাহেরুল হকে সভাপতিত্বে এই আলোচনাসভা সঞ্চালনা করেন নাবিকের সহ সভাপতি বুরহান উদ্দিন ফয়সল। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন ড. মেজর(অব) আব্দুল ওয়াহাব মিনার, রক্তরোগ বিশেষজ্ঞ ড. মনজুর মোরশেদ, স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের মহাপরিচালক ড. এনামুল হক।
সভাপতির বক্তব্যে ড. মোজাহেরুল হক বলেন, স্বাস্থ্য সর্বপ্রথম ব্যক্তিগত সম্পদ। সেটি নিজের রক্ষা করতে হয়। কিন্তু আমাদের ধারণা নেই ঠিক কিভাবে সুস্থ থাকবো। ছোটবেলা থেকে আমাদের নিরাপদের ক্ষেত্রে ধারণা দেয়া হয়না। ফলে এই বিষয়টি জটিল হয়ে যাচ্ছে।
স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের মহাপরিচালক ড. এনামুল হক, সরকার চেষ্টা করছে স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতিসহ অন্যান্য বাড়তি খরচের লাগাম টানতে। এদিকে আমাদের আগামী নিয়ে ভাবতে হবে। এলডিসিতে উত্তোরণের পর আমাদের ওষুধের দাম বাড়বে। সুতরাং এই ধরনের ইস্যুতে আমাদের আগে থেকে প্রস্তুত থাকতে হবে।