জলপাই একটি টকজাতীয় ফল যা ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়ক। অনেকেই মনে করেন, জলপাই খেলে ক্যানসার সেরে যায়, কিন্তু তা নয়। জলপাই ক্যানসারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। বিশেষ করে জলপাই তেল স্তন ক্যানসার প্রতিরোধে কার্যকর, এটি ক্যানসার সৃষ্টিকারী কোষের বৃদ্ধি রোধ করে এবং টিউমারের বিস্তার কমায়।
জলপাইয়ের আরও কিছু উপকারী দিক
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় – এতে উচ্চমাত্রার মনো-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, বিশেষ করে ওলিক অ্যাসিড থাকে, যা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে ও উচ্চ রক্তচাপ কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ – এতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা কোষের ক্ষতি রোধ করে ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। বয়সজনিত বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধেও এটি সহায়ক।
হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায় – জলপাইয়ের বিশেষ উপাদান হাড়ের ঘনত্ব বাড়িয়ে অস্টিওপরোসিসের ঝুঁকি কমায়।
ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে – স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ও মেটাবলিজম বৃদ্ধির মাধ্যমে জলপাই ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে, ফলে কম ক্যালোরি গ্রহণ হয় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
ত্বকের যত্নে কার্যকর – এতে থাকা ভিটামিন ই ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বককে সজীব রাখে, বলিরেখা কমায় এবং আর্দ্রতা ধরে রাখে।
হজমশক্তি বাড়ায় – জলপাইয়ের ফাইবার হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সহায়ক।
ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে – এতে থাকা ফ্যাট ও ফাইবার ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়িয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে।
সতর্কতা
অনেক সময় জলপাই সংরক্ষণের জন্য লবণযুক্ত করা হয়। তাই উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জলপাই খাওয়ার পরিমাণ নিয়ে সতর্ক থাকা উচিত।