তানজানিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতি ভাইরাস মারবার্গ

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

মার্চ ২৩, ২০২৩, ০৫:৩৮ এএম

তানজানিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতি ভাইরাস মারবার্গ

তানজানিয়ায় ইবোলার মতো প্রাণঘাতী এক অতিসংক্রামক ভাইরাসে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রচণ্ড জ্বর, শরীরে অস্বাভাব্কি ব্যথা ছিল ওই রোগীদের। এই ভাইরাসে শরীরের ভেতরে রক্তক্ষরণ ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গ নিস্ক্রিয় হয়ে পড়ার লক্ষ্যণও দেখা যায়। উপদ্রুত উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কাগেরা অঞ্চল থেকে এটি এখন দ্রুততায় দেশটির সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ছে বলে জানাচ্ছে কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা।

তানজানিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী উম্মে মোয়ালিমু ধারণা করছেন, মারবার্গ ভাইরাসেই (এমভিডি) তাদের মৃত্যু হয়েছে। তবে সংক্রমণ আর ছড়াবে না বলেও আশা প্রকাশ করছেন তিনি।

Marburg Bat

মারবার্গ ভাইরাস রোগটি মিশরীয় জাতের এক বাঁদুড় থেকে প্রথমে মানুষের দেহে ছড়ায়। ছবি: সংগৃহীত

এই ভাইরাসে সংক্রমিত আরও তিনজন হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। তাদের সংস্পর্শ আসা আরও ১৬১ জনকে শনাক্তের চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এই ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ রাখায় তানজানিয়া সরকারের প্রশংসা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা- ডব্লিউএইচও।

সংস্থাটির আফ্রিকার আঞ্চলিক পরিচালক মাতশিদিসো মোয়েতি বলেন, তানজানিয়ার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ প্রাদুর্ভাব নিয়ে কার্যকরভাবে সাড়া দিয়েছে।

মারবার্গ ভাইরাস রোগ বাঁদুড় থেকে মানুষের দেহে ছড়ায় এবং শারীরিক তরলের মাধ্যমে এক দেহ থেকে আরেক দেহে সংক্রমিত হয়। ২০১৫ সালে অ্যাঙ্গোলাতে সর্বশেষ বড় সংক্রমণের পর এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বিরল। ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হলে রোগীর অবস্থা গুরুতর হয়, মাথাব্যথা, জ্বর, পেশিতে ব্যথা, রক্ত বমি ও রক্তক্ষরণের মতো উপসর্গে প্রাণঘাতী রোগ দেখা দেয়।

Marburg virus inner

মারবার্গ ভাইরাস রোগটি অ্যাঙ্গোলায় ভয়ানক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছিল। ছবি: সংগৃহীত

মারবার্গ ভাইরাসের কোনও চিকিৎসা নেই। তবে চিকিৎসকা বলছেন, প্রচুর পরিমাণে পানি পান এবং উপসর্গগুলোর চিকিৎসায় রোগীর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বাড়ে।

প্রসঙ্গত, অ্যাঙ্গোলাতে ২০০৪-২০০৫ সালে মারবার্গ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছিল। সেখানে মৃত্যুহার ছিল ৮৮ ভাগ।

বিবিসি ও দ্য গার্ডিয়ান

Link copied!