‘এরা সুখের লাগি চাহে প্রেম, প্রেম মেলে না,
শুধু সুখ চলে যায়।’
অথবা ‘সবাই তো সুখী হতে চায়’
যেভাবেই বলি না কেন সুখ একটি আপেক্ষিক শব্দ।
অভিধানে সুখের প্রথম সংজ্ঞা বলা হয়েছে অনুভূতি, দেখানো বা আনন্দ প্রকাশ করা এবং খুশি। আপেক্ষিক এই সুখকে ঘিরে রয়েছে গান, কবিতা, নাটক, সিনেমাসহ কতকিছু। অথচ সুখ ধরা যায় না হাতে, ছোঁয়ানো যায় না গালে, তবুও সুখের তরে মরি সবাই।
বিশ্ব সুখ দিবস আজ। পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের সুখ-সমৃদ্ধি নিশ্চিত করার জন্য দিবসটি পালনের সিদ্ধান্ত নেয় জাতিসংঘ।
২০১২ সালের ৮ জুন জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের এক অধিবেশনে ২০ মার্চ দিনটিতে “আন্তর্জাতিক সুখ দিবস” বা “বিশ্ব সুখী দিবস” পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অধিবেশনে জাতিসংঘের ১৯৩টি দেশের প্রতিনিধিরা দিবসটিকে স্বীকৃতি দেন। এরপর থেকে প্রতিবছর বিশ্বের একাধিক দেশ দিবসটি নানা আয়োজনে পালন করে। জাতিসংঘ তাদের সদস্যভুক্ত দেশগুলোর ওপর পূর্ণ এক বছর জরিপ পরিচালনা করে সুখী দেশের তালিকা প্রকাশ করে এ দিনে।
এ বছর ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস দিবসের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ৯৯তম। ২০২২ সালে ছিল ৯৫তম। সে অনুপাতে সুখী দেশের তালিকায় এ বছর র্যাংকিং-এ পিছিয়েছে।
দিবসটির প্রতিষ্ঠাতা অর্থনীতিবিদ জেম এলিয়েন। তিনি জাতিসংঘের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও জাতিসংঘের পরামর্শদাতা এবং শান্তি ও নিরাপত্তা অর্থনীতিবিদদের প্রতিনিধি এবং জাতিসংঘ অনুমোদিত এনজিও ইসিওএসসি বিশেষ পরামর্শদাতার দায়িত্ব পালন করেন।