ইউক্রেনের পূবাঞ্চলীয় বাখমুত শহরের সব প্রশাসনিক ভবন নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার দাবি করেছে রাশিয়া। ইউক্রেন অধিকৃত দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিকের (ডিপিআর) ভারপ্রাপ্ত প্রধান ডেনিস পুশিলিন এ তথ্য জানিয়েছেন।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে রাশিয়ার টিভি চ্যানেল ওয়ানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই তথ্য নিশ্চিত করেন। রাশিয়ারে রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা তাস‘র প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
তিনি বলেন, বাখমুতের সব প্রশাসনিক ভবন ইতোমধ্যে আমাদের বাহিনী নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। ডেনিস পুশিলিন বলেন, তিনি নিজের চোখে এটি দেখতে আর্টিওমভস্কে(বাখমুত) গিয়েছিলেন।
দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিকের (ডিপিআর) ভারপ্রাপ্ত প্রধান আরও বলেন, বাখমুতে তিনি গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এমন ভবন খুব কমই দেখেছেন। যেসব ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেগুলো সামান্য পুরর্গঠন করলেই ব্যবহারের উপযোগি হয়ে উঠেবে বলেও তিনি জানান।
এর আগে, বাখমুতের ৮০ ভাগের বেশি এলাকা নিয়ন্ত্রনে নেওয়ার দাবি করেছিল রাশিয়ার আধা সামরিক ভাড়াটে বাহিনী ভাগনারের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন।
প্রসঙ্গত, শীত পড়তে শুরু করলে রুশ বাহিনী বাখমুতের পাশের শহর সোলেদার দখল করে নেয়। তবে ইউক্রেনের তীব্র প্রতিরক্ষার সামনে বাখমুতে প্রবেশ অসম্ভব হয়ে যাওয়ায় নতুন কৌশল গ্রহণ করে পুতিন বাহিনী। জায়গা দখলের আদিম পদ্ধতি অনুসরণ করে তারা বিশাল এই বাখমুতকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলার চেষ্টা করে যাতে বাখমুতে থাকা ইউক্রেনের এই হাজার হাজার সেনারা বিচ্ছিন্ন হয়ে আত্মসমর্পণে বাধ্য হয়।
গত এক মাসে রুশ বাহিনী বাখমুতের আশেপাশের সব এলাকা দখলে নেয়। এভাবে আজভ সাগরের তীরে অবস্থিত মারিউপোল দখলে নিয়েছিল রাশিয়া। সেখানে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলা রুশ বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করতে হয় ইউক্রেনীয় সেনাদের।
বাখমুত কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?
পূর্ব ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের ডোনেস্ক ও লুহানস্ক এলাকায় রসদপত্র সরবরাহের জন্য বাখমুত ও সোলেডার শহরের অবস্থান। সোলেডার শহর আগেই রাশিয়া নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। এবার বাখমুত দখলে নেওযায় রুশ বাহিনী জায়গাটিকে ক্রামাটরস্ক ও স্লোভিয়ানস্কের মত দুটি বড় শহরের দিকে এগিয়ে যাবার জন্য একটা ভিত্তি তৈরি হলো।