 
						
                            
                                                        দেশে মহামারি করোনাভাইরাসের সামগ্রিক পরিস্থিতি ও পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে আগামীকাল মঙ্গলবার আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক ডেকেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
সোমবার (২ আগস্ট) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব রেজাউল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, সচিবদের পাশাপাশি সরকারের গুরুত্বপূর্ণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকদের এ বৈঠকে আহ্বান জানানো হয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি বজায় থাকায় বিধিনিষেধ বাড়ানোর চিন্তা রয়েছে সরকারের। তবে জীবন ও জীবিকার বিষয়টি মাথায় রেখে কিছু বিষয়ে শিথিলতা আসতে পারে।
ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। এতে যোগ দিতে অনুরোধ করা হয়েছে স্বাস্থ্য, স্বরাষ্ট্র, কৃষি, শিক্ষা, পররাষ্ট্র, স্থানীয় সরকার, তথ্য ও সম্প্রচার, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা, জনপ্রশাসন, বাণিজ্য, দুরে্যাগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের। এছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও পুলিশ মহাপরিদর্শকদের এই সভায় যোগ দিতে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
বিধিনিষেধ বাড়লে তা কতদিন হবে, কোন কোন ক্ষেত্রে শিথিলতা আসবে- সভায়ই সবকিছু চূড়ান্ত হবে। এরপর প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর বিধিনিষেধের বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলেও জানিয়েছেন একজন কর্মকর্তা।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি উদ্বেগজনক পর্যায়ে চলে যাওয়ায় গত কয়েক মাস ধরে বিধিনিষেধ আরোপ করে তা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে সরকার। মাঝে ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে আট দিনের জন্য শিথিল করা হয়েছিল বিধিনিষেধ। এরপর আবার গত ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে আগামী ৫ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ দিয়েছে সরকার।
বিধিনিষেধে সব ধরনের গণপরিবহন, সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ আছে। খাদ্যপণ্য উৎপাদন-প্রক্রিয়াকরণ, চামড়া পরিবহন-সংরক্ষণ ও ওষুধ খাত।
দেশের রপ্তানিমুখী অর্থনীতির কথা বিবেচনা করে সরকার গত ১ আগস্ট থেকে দেশের রপ্তানিমুখী কলকারখানা খুলে দেয়। এ ঘোষণার পর দেশের প্রান্ত থেকে ঢাকায় আসতে শুরু করেন শ্রমিকরা। এতে স্বাস্থ্যবিধির কোনো বালাই ছিল না।
সংক্রমণ পরিস্থিতিতে লকডাউন আরও দশ দিন বাড়ানোর সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এদিকে, বিধিনিষেধ জারির পরও নিয়ন্ত্রণে আসেনি করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি। প্রতিদিনই দু-শতাধিক মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছেন, আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হচ্ছেন ১০ হাজারের বেশি। এর মধ্যে বিধিনিষেধ আরও ১০ দিন বাড়ানোর সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
অপরদিকে গণপরিবহন চালু এবং দোকান-শপিংমল, হোটেল-রেস্তোরাঁ খুলে দেয়ার দাবিও জোরালো হচ্ছে।
 
                                                                                                                     
                                                                                                                     
                                                                                                                     
                                                                                                                     
                                                                                                                     
                                                                                                                     
                                                                                                                     
                                                                                                                     
                                                                                                                     
                                                                                                                     
                                                                                                                     
                                                                                                                     
                                                                                                                     
                                                                                                                     
                                                                                                                     
                                                                                                                     
                                                                                                                     
                                                                                                                     
                                                                                                                     
                                                                                                                     
                                                                                                                     
                                                                                                                     
                                                                                                                     
                                                                                                                     
                                                                                                                     
                                                                                                                     
                                                                                                                     
                                                                                                                     
                                                                                                                    