জুলাই ২২, ২০২৫, ১০:০৮ পিএম
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এফটি-৭ বিজিআই প্রশিক্ষণ বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলামের স্মরণে আজ বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বীর উত্তম এ কে খন্দকার ঘাঁটিতে এক শোকপারেড অনুষ্ঠিত হয়।
গত ২১ জুলাই একটি নিয়মিত প্রশিক্ষণ মিশনে যাত্রা করা বিমানটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই নিয়ন্ত্রণ হারায়।
শেষ মুহূর্তে ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা এড়িয়ে বিমানটি অন্যত্র সরিয়ে নিতে চেষ্টা করেন।
কিন্তু দুঃখজনকভাবে বিমানটি ঢাকার দিয়াবাড়িতে অবস্থিত মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিধ্বস্ত হয়, যাতে একাধিক প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনার পরপরই বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার ও অ্যাম্বুলেন্সসহ উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে ছুটে আসে এবং আহতদের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ও নিকটস্থ হাসপাতালগুলোতে পাঠানো হয়।
চিকিৎসকদের সব চেষ্টা সত্ত্বেও ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকিরকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স ছিল ২৭ বছর ৮ মাস ১৩ দিন।
ঘাঁটির প্যারেড গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত প্রথম জানাজায় তাঁকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী প্রধানদের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়, যেখানে নৌবাহিনীর সহকারী প্রধান (অপারেশনস) প্রতিনিধিত্ব করেন। এছাড়াও তাঁর পরিবার, ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা ও সহকর্মীরা জানাজায় অংশ নেন।
ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকিরকে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁর নিজ জেলা রাজশাহীতে দাফন করা হয়।
১৯৯৭ সালের ৯ নভেম্বর রাজশাহীতে জন্ম নেওয়া তৌকির পাবনা ক্যাডেট কলেজ থেকে পড়াশোনা শেষ করে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) থেকে অ্যারোনটিক্স বিষয়ে বিএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন।
২০১৬ সালে তিনি বিমান বাহিনীতে যোগ দেন এবং ২০১৯ সালে কমিশন লাভ করেন। কর্মজীবনে তিনি একাধিক স্কোয়াড্রনে কাজ করেছেন এবং দেশ ও বিদেশে বিভিন্ন বিশেষ প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেন।
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস এবং বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান গভীর শোক প্রকাশ করে মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন।