ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর উত্তরায় বিমান দুর্ঘটনায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের নিহত ও আহত হওয়ার ঘটনার সঠিক তথ্য প্রকাশ এবং গভীর রাতে চলমান এইচএসসি পরীক্ষার সময়সূচি পরিবর্তনের প্রতিবাদে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থী। বেলা তিনটার দিকে এই প্রতিবেদন লেখার সময় শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবরোধ অব্যাহত রেখেছেন। এর ফলে মহাসড়কের দুই পাশে অসংখ্য যান আটকে আছে।
মঙ্গলবার, ২২ জুলাই দুপুর ১২টার দিকে বরিশাল নগরের নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ড–সংলগ্ন বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের সামনে এই বিক্ষোভ শুরু হয়। এতে নগরের বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা যোগ দিয়ে বিক্ষোভ করেন। সাধারণ শিক্ষার্থীদের এই অবরোধের ফলে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে সড়কের দুই পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয় এবং দূর-দূরান্ত থেকে আসা যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন।
বিক্ষোভ চলাকালে শিক্ষার্থীরা উত্তরার যুদ্ধবিমান দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে নথুল্লাবাদ এলাকার মহাসড়কে গায়েবানা জানাজার আয়োজন করেন। জানাজা শেষে নিহত ব্যক্তিদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে সেখানে দোয়া-মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে জানান, উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ও আহত ব্যক্তিদের প্রকৃত সংখ্যা এখনো প্রকাশ করা হয়নি। অনেক পরিবার তাদের সন্তানদের খুঁজে পাচ্ছে না। নিহত ও আহত ব্যক্তিদের সঠিক তথ্য জানতে চান বিক্ষোভকারীরা।
এ সময় বক্তব্য দেন শিক্ষার্থী ইমাম হোসেন, শাহরিয়ার রুম্মান, জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ। তাদের অভিযোগ মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় এতগুলো শিশুর মৃত্যু ও দগ্ধ হওয়ার ঘটনার পর সরকারের যে ধরনের দায়িত্বশীলতার প্রয়োজন ছিল, তা দেখা যায়নি। তারা বলেন, এত বড় দুর্ঘটনার পরও শিক্ষা মন্ত্রণালয় মঙ্গলবারের এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত করেনি। এরপর গভীর রাতে পরীক্ষার সময়সূচি পরিবর্তন করা হয়েছে। এতে লাখ লাখ শিক্ষার্থীর সঙ্গে অন্যায় আচরণ করা হয়েছে। পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার কোনো সুযোগও দেওয়া হয়নি। এই আচরণ মেনে নেওয়া যায় না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ইউনুস আলী সিদ্দিকী বলেন, ‘পরীক্ষা পেছানোর সিদ্ধান্তের নোটিশ আমরাও গভীর রাতে পেয়েছি। নোটিশ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সব কলেজে তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।’