ছবি: সংগৃহীত
পাবনার বেড়া উপজেলায় মসজিদ নির্মাণকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় সংঘাত ও ভাঙচুরের ঘটনায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন।
রোববার, ২৭ জুলাই সকালে বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইইএনও) মো. মোরশেদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
শনিবার এক আহত ব্যক্তির মৃত্যুর পর বাড়িঘরে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনার পর ওই এলাকায় পুলিশ ও সেনাবাহিনী টহলের জোরদার করা হয়েছে। এখনও এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
ইউএনওর আদেশে বলা হয়, বেড়া উপজেলার চাকলা ইউনিয়নের তারাপুর গ্রামে নতুন মসজিদের বারান্দা নির্মাণকে কেন্দ্র করে দেশীয় অস্ত্রসহ মারামারি, অগ্নিসংযোগ, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও অস্ত্র প্রদর্শনীর ঘটনা ঘটে।
এ অবস্থায় ওই এলাকায় ২৭ জুলাই সকাল ১০টা থেকে ২৮ জুলাই সকাল ১০টা পর্যন্ত ফৌজদারি কার্যবিধির ১৮৯৮ এর ১৪৪ ধারা জারি করা হল। এ সময় সব ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র ও লাঠি বহন ও প্রদর্শন, যেকোনো ধরনের মাইকিং বা শব্দযন্ত্র ব্যবহার, পাঁচ বা অধিক সংখ্যক ব্যক্তির একত্রে চলাফেরা, সভা-সমাবেশ ও মিছিল ইত্যাদি নিষিদ্ধ থাকবে।
কয়েক বছর আগে বেড়া উপজেলায় পুরনো মসজিদে মিলাদ মাহফিলে কিয়াম পড়া নিয়ে একটি ঝামেলা হয়। মসজিদের তৎকালীন ক্যাশিয়ার মতিনসহ একটি পক্ষ কিয়াম পড়ার পক্ষে অবস্থান নিয়ে নতুন মসজিদ নির্মাণ করেন। সম্প্রতি এ মসজিদের বারান্দা নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু একই গ্রামে দুটি মসজিদ নির্মাণে আপত্তি জানায় আরেকটি পক্ষ।
এ নিয়ে শুক্রবার সকালে নতুন মসজিদের বারান্দা নির্মাণ করতে গেলে তাতে বাধা দেয় ওই পক্ষ। এ সময় হাঁসুয়া, টেঁটা ও লাঠি নিয়ে উভয়পক্ষ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়ায়। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হন।
সবশেষ শনিবার হাদিস নামে একজনের মৃত্যুর খবরে ওই এলাকার বেশ কিছু বাড়িতে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া আহত হন অন্তত ২৫ জন।
নিহত মোহা. হাদিস উদ্দিন প্রামাণিক (৪০) পার্শ্ববর্তী সাঁথিয়া উপজেলার তলট গ্রামের আব্দুস শুকুর প্রামাণিকের ছেলে। বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।