বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব কমিটি স্থগিত, কেন্দ্রীয় কমিটি বহাল

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জুলাই ২৭, ২০২৫, ০৬:৫২ পিএম

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব কমিটি স্থগিত, কেন্দ্রীয় কমিটি বহাল

ছবি: সংগৃহীত

কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠার পর এক পর্যায়ে ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুধু কেন্দ্রীয় কমিটি বহাল রেখে সারা দেশের সব কমিটি স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।

সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্মটি সম্প্রতি বিতর্কে জড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষাপটে আজ রোববার রাজধানীর শাহবাগে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি রিফাত রশিদ জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটি ছাড়া সারা দেশের সব কমিটি কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।

এ সময়ে তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের দুর্নীতির বিষয়ে জিরো টলারেন্সের কথা বলেন। নেতাকর্মী দুর্নীতির সাথে জড়িত হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানান কেন্দ্রীয় সভাপতি।

রিফাত রশিদ জানান, গতকাল রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৫ নেতাকর্মীর চাঁদাবাজির দায়ে গ্রেপ্তারের ঘটনা এবং বিগত সময়ে নানা সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

২০২৪ সালের পহেলা জুলাই কোটা আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে গড়ে ওঠে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। ৮ জুলাই সংগঠনটি ৬৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি ঘোষণা করে, যার মধ্যে ২৩ জন সমন্বয়ক ও ৪২ জন সহ-সমন্বয়ক ছিলেন। পরে কমিটি আরও বড় হয়।

এক পর্যায়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের ডাক দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে চলে যান।

প্রতিষ্ঠার পর থেকে একাধিক সমন্বয়ককে এই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে দেখা গেছে। যাদের মধ্যে অন্যতম হলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, এনসিপি নেতা সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহ, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।

কয়েকজন নেতা এরই মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন। চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় গ্রেপ্তারও হয়েছেন কয়েকজন। এ অবস্থায় সবশেষ রাজধানীর গুলশানে সংগঠনটির নেতাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠার পর কেন্দ্রীয় কমিটি রেখে সব কমিটি স্থগিত হলো।

Link copied!