বায়ু দূষণ ও শব্দ দূষণ বর্তমান সময়ের অন্যতম সমস্যা। ধরা যাক আমরা রাস্তায় হাঁটছি সাথে এমন একটি যন্ত্র রয়েছে যা দূষিত বাতাস পরিশুদ্ধ করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আমাদের ভেতরে তা প্রবেশ করিয়ে দিচ্ছে। এমনই একটি পরিধানযোগ্য প্রযুক্তি পণ্য তৈরি করেছে ভ্যাকুয়াম ক্লিনারের জন্য সুপরিচিত কোম্পানি ডাইসন। দুই কান ঢাকা দৃষ্টিনন্দন হেডফোন সাথে বায়ুবিশুদ্ধকরণ মুখের ভিসারযুক্ত এই পণ্যটি দারুণ জনপ্রিয় হয়ে উঠবে বলে আশা করছে ব্রিটিশ বহুজাতিক প্রযুক্তি কোম্পানি ডাইসন।
ডাইসন জোন নামের হেডফোনটি তৈরিতে মোট ছয় বছর সময় লেগেছে। হেডফোনটি বর্তমান সময়ের অন্যতম সমস্যা বায়ুদূষণ প্রতিরোধে কার্যকরী হবে এমনভাবেই নকশা করা হয়েছে। একজন রিভিউয়ার জানিয়েছেন হেডফোনগুলো অবশ্যই ‘মাথা ঘুরিয়ে দিবে।’
গ্যাজেট বিষয়ক পাবলিকেশন পকেট-লিন্টের উপসম্পাদক ব্রিটা ও’বয়লি বলেছেন, নকশাটি সত্যিকার অর্থেই দৃষ্টিনন্দন। শব্দের মানও খুব চমৎকার। হেডফোনটি খুব সুন্দরভাবে নির্মাণ করা হয়েছে।
আগামি কিছুদিনের মধ্যেই হেডফোনটি বিক্রি শুরু হবে। পণ্যটি বেশ ব্যায়বহুল হবে বলে জানিয়েছেন ও’বয়লি।
শব্দ দূষণ প্রতিরোধী এ হেডফোনটির একটি মোটর, ফ্যান এবং প্রতিটি এয়ার কাপে এয়ার ফিল্টার রয়েছে। এই ফিল্টারের মাধ্যমে বায়ু শোষণ করে সেখান থেকে নাইট্রোজেন ও সালফার ডাইঅক্সাইডের মতো দূষিত পদার্থগুলো পৃথক করা হয় এবং ধুলো-ময়লা ভেঙ্গে ফেলা হয়। এভাবে বায়ু বিশুদ্ধ করে তা ভিসারের মাধ্যমে নাক ও মুখের ভেতরে প্রবেশ করানো হয়। এই ভিসার বা মুখোশটি হেডফোনের নিচ থেকে চৌম্বকভাবে সংযুক্ত থাকে।
কোম্পানিটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ,ফুসফুসে বিশুদ্ধ বায়ু পৌঁছানোর জন্য যন্ত্রটি ৯৭ শতাংশ কার্যকরী।
যন্ত্রটি পরিধানকারী রাস্তায় হাঁটছে না বসে আছে তার ওপর নির্ভর করে চারটি বিশুদ্ধকরণ মোড রয়েছে। শ্বাস-প্রশ্বাস এবং পরিশ্রম ট্র্যাক করে বিভিন্নধরনের মুড বোঝার জন্য হেডফোনে সেন্সর লাগানো থাকে।
হেডফোনটি কম ফিল্টার মোডে থাকলে এর ব্যাটারি চার ঘন্টা চলবে। আর বেশি ফিল্টার মোডে থাকলে দেড় ঘন্টা চলবে।
ডাইসনের প্রধান প্রকৌশলী ডাইসন বলেছেন, বায়ু দূষণ একটি বৈশ্বিক সমস্যা। আমরা যেখানেই যাই না কেন এ সমস্যা থাকবেই ডাইসন জোন আপনি যেখানে যান না কেন বাতাসকে পরিশুদ্ধ করবে।