টুইটারের নতুন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নাম ঘোষণা করেছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার ইলন মাস্ক। এনবিসি ইউনিভার্সালের বিজ্ঞাপন বিভাগের সাবেক প্রধান লিন্ডা ইয়াকারিনো এই সাইটটির ব্যবসায়িক কার্যক্রম তদারকিতে নেতৃত্ব দেবেন।
গত শুক্রবার (১২ মে) তিনি টুইটারের শীর্ষ পদে এই নারীর নাম ঘোষণা করেন। মাইক্রোব্লগিং সাইটটির বহুল আলোচিত অধিগ্রহণের প্রায় ছয় মাস পরে এই পদে নতুন মুখ আনলেন মাস্ক। এতদিন গুরুত্বপূর্ণ এই দায়িত্ব তিনিই সামলাচ্ছিলেন।
আগের দিনই তিনি টুইটারের জন্য ‘নতুন বস’ খুঁজে পেয়েছেন বলে এক টুইট করেন। সেখানে কোনো নাম উল্লেখ না করায় এটি নানা জল্পনার খোরাক হয়ে ওঠে।
এক টুইট বার্তায় ইলন মাস্ক বলেন, টুইটারের নতুন সিইও হিসেবে লিন্ডা ইয়াকারিনোকে স্বাগত জানাতে পেরে আমি খুব আনন্দিত। এখন থেকে লিন্ডা টুইটারের যাবতীয় বাণিজ্যিক কার্যক্রম তদারকি করবে। আমি টুইটারের প্রোডাক্ট ডিজাইন ও নতুন প্রযুক্তির ওপর নজর দেব।
মাস্ক টুইটে আরও লিখেন, ‘এই প্ল্যাটফর্মটিকে বহুমুখী অ্যাপ এক্স-এ রূপান্তর করতে লিন্ডার সঙ্গে কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি।
নতুন পদে লিন্ডা যোগ দিতে আরও দেড় মাস সময় নিলেও এই ঘোষণা সেবাটিতে বিজ্ঞাপনদাতাসহ বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারের মনে ভরসা যোগাবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্ট।
লিন্ডা জাকারিনো টার্নার ব্রডকাস্টিং করপোরেশনে প্রায় দুই দশক কাজ করার পর ২০১১ সালে এনবিসি ইউনিভার্সালে যোগ দেন। এনবিসি ইউনিভার্সালে প্রতিষ্ঠানটির বিজ্ঞাপন সমর্থন করে এমন সরাসরি স্ট্রিমিং পরিষেবা ‘পিকক’ চালু করতে এবং সুপার বৌল এবং অলিম্পিক গেমসের মতো সরাসরি অনুষ্ঠানগুলোর সম্প্রচার তদারকি করতেন তিনি। সেই সঙ্গে পাশাপাশি স্ন্যাপচ্যাট, ইউটিউব এবং টুইটারসহ বিভিন্ন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানেও কাজ করেছেন লিন্ডা।
পূর্ববর্তী পদগুলোর মধ্যে তার কাজের তালিকায় ছিল বড় ব্র্যান্ডগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ও সহযোগিতা বজায় রাখা, পণ্য প্রচারের সুযোগ খুঁজে বের করা এবং টেলিভিশন শোগুলোয় বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য তাদের রাজি করানো।
২০০৫ সালে পেশাজীবীদের এক প্রকাশনায় তাঁকে চিহ্নিত করা হয়েছিল দুই সন্তানের একজন ব্যস্ত, কর্মজীবী মা। সে সময় তাঁর সন্তানদের বয়স ছিল ১৩ এবং ৯ বছর।
বিজ্ঞাপন বিষয়ে গভীর জ্ঞান রয়েছে ইয়াকারিনো’র যা থেকে টুইটার লাভবান হবে বলে বিবিসি উল্লেখ করেছে। তার এই অভিজ্ঞতা সম্ভবত টুইটারের সবচেয়ে বেশি দরকার। টুইটারের পুরো আয় আসে বিজ্ঞাপন থেকে আর ইলন মাস্কের হাতে যাওয়ার পর থেকে সে আয়ে ধস নেমেছে।