মার্চ ৯, ২০২৩, ০৪:৩৫ পিএম
ভারতের বৃহৎ ব্যবসায়ী গ্রুপ আদানির সাথে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ চুক্তিকে ‘দেশবিরোধী ও জনগণবিরোধী’ আখ্যা দিয়ে অবিলম্বে এই চুক্তি বাতিলের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ২০১৮ সালে জাতীয় নির্বাচনের আগে হওয়া এই চুক্তি ভারত সরকারকে ঘুষ দেওয়া কি না তার প্রশ্নও রাখেন বিএনপি মহাসচিব।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। ‘মহাবিপর্যয়ে বিদ্যুৎ খাত: গভীর খাদে অর্থনীতি’ শীর্ষক এই গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করে অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (অ্যাব)।
সরকার পরিকল্পিতভাবে বিদ্যুৎ খাতকে ধ্বংস করে দিয়েছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে তারা ঠিক করে নিয়েছে বিদ্যুৎ খাত থেকে সবচেয়ে বেশি চুরি করবে। তারা যা করে সেটা পরিকল্পিতভাবেই করে।”
তিনি আরও বলেন, “ তারা (আওয়ামী লীগ) ক্ষমতায় এসে বলতে শুরু করল বিদ্যুৎ খাতে বিএনপি সরকার কিছুই করেনি, শুধু খাম্বা তৈরি করেছে। কিন্তু বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এসব বলে তারা জায়েজ করল যে বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে। কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্লান্ট জায়েজ করার জন্য তারা এসব প্রপাগাণ্ডা শুরু করল।”
আদানির সাথে চুক্তির বিষয়টি তারা গোপন রেখেছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আদানির সঙ্গে চুক্তি দুরভিসন্ধিমূলক। এখানে রাজনৈতিক দুটি বিষয় রয়েছে। চুক্তি সই হয়েছে ২০১৭ সালে অর্থ্যাৎ ১৮ সালের নির্বাচনের আগে। তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে এটা ভারত সরকারকে ঘুষ দেওয়া কি না।”
মির্জা ফখরুল বলেন, “সরকার আখের গোছানোর জন্য শুধু বিদ্যুৎ খাত নয়, সব খাতে দুর্নীতি করছে। তারা টাকা দিয়ে নির্বাচন কিনে নেবে। যাঁরা নির্বাচন পরিচালনা করেন, তাঁদের সবার কাছে তারা নগদ টাকা পৌঁছে দেয়। নির্বাচন কমিশন এটা স্বীকার করতে চায় না।”
প্রতি নির্বাচনে সরকার নতুন নতুন কৌশল বেছে নেয় বলে মন্তব্য করেন বিএনপির এই অন্যতম শীর্ষ নেতা বলেন, “এ সরকার খুব সৃজনশীল। এবার পুলিশ বাদ দিয়ে আনসার ভিডিপি ব্যবহারের কৌশল নিয়েছে। জনগণের সঙ্গে প্রতারণা ছাড়া আর কোনো কিছু তারা করতে পারে না। ১৪ বছর ধরে প্রতারণা করে যাচ্ছে। একটা দিন ভোট দেওয়ার অধিকার ছিল জনগণের, সেটাও তারা কেড়ে নিয়েছে।”
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজুর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির সহ-স্থানীয় সরকারবিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আক্তার, সহ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বকুল।