শনিবার রাত পোহালেই পবিত্র ঈদ উল আজহা। পরিবার-পরিজনদের সঙ্গে ঈদ করতে তাই নাড়ির টানে ছুটছে মানুষ। পরিবহন সঙ্কট, দ্বিগুণেরও বেশি ভাড়া, অসহনীয় যানজট, ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা- সবকিছুই হাসিমুখে মেনে নিয়েই ঘরমুখো মানুষের বাড়ির দিকে ছুটে চলা।
বাস, ট্রাক, প্রাইভেটকারের পাশাপাশি কম খরচে ট্রাক ও পিকআপে করে বাড়ি ফিরছেন নিম্ন আয়ের মানুষেরা।
প্রচণ্ড যানজটের কারণে ঘরমুখো মানুষ বিশেষ করে নারী ও শিশুরা বিপাকে পড়েছেন। গন্তব্যে যেতে দুই থেকে তিন গুণ বেশি সময় লাগছে।
ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে শুক্রবার ভোর থেকে শুরু হওয়া যানজট আরও দীর্ঘ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। শনিবার (আজ) সকাল পর্যন্ত সেতুর পূর্বপ্রান্ত থেকে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার করটিয়া পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে।
তবে পুলিশ বলছে, মহাসড়কে ঈদে ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড়। বাসে সিট না পেয়ে অনেকে ট্রাকে বাড়ি যাচ্ছেন। যানবাহনের চাপ অনেক বেশি। সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল গোলচত্বর থেকে ঘুড়কা, সাহেবগঞ্জ ও চান্দাইকোনা এলাকায় যানবাহনের ধীরগতি থাকলেও যানজট নেই।
সিরাজগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (প্রশাসন) সালেকুজ্জামান খান সালেক গণমাধ্যমকে বলেন, “সকাল থেকেই উত্তরবঙ্গগামী লেনে গাড়ির চাপ বেড়েছে। তবে বঙ্গবন্ধু সেতুর গোল চত্বর থেকে সব পয়েন্টেই যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।”
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, “হাটিকুমরুল গোলচত্বর পার হবার পর বগুড়াগামী লেনটিতে কিছু গাড়ি উল্টোপথে চালানোর কারণে কিছুটা ধীরগতি সৃষ্টি হয়েছিল। বর্তমানে ওই রুটে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।”
সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, “বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কে উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলের ২২টি জেলার যানবাহন চলাচল করে। ঈদে পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপনে বাড়ি ফিরছেন মানুষ। ফলে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে প্রায় ৬০০ পুলিশ সদস্য কাজ করছেন।”