ছবি: সংগৃহীত
ঢাকার দোহার উপজেলায় বিএনপি নেতা হারুনুর রশিদকে (৬৩) গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
বুধবার, ০২ জুলাই সকাল সাড়ে ৬টায় উপজেলার বাহ্রা হাবিল উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন সড়কের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত বিএনপি নেতা হারুন উপজেলার বাহ্রা গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি নয়াবাড়ি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ছিলেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের ন্যায় বুধবার সকালে নামাজ পড়ে বাড়ির পাশে নদীর ধারে ওয়াকওয়ে সড়কে হাঁটতে বের হলে মোটরসাইকেলে করে তিন যুবক এসে তাকে লক্ষ্য করে হঠাৎ গুলি শুরু করে। এসময় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। গুলির শব্দ শুনে স্থানীয় লোকজনকে এগিয়ে আসতে দেখে দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যায়।
এ সময়ে স্থানীয়রা তাকে দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. নুসরাত তারিন বলেন, তার মাথায়, ঘাড়ে ও শরীরে মোট ৬টি গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে।
নিহত হারুনের ভাতিজা মো. শাহিন আলম বলেন, প্রতিদিনের মতো ভোরে নামাজ শেষে চাচায় হাটঁতে বের হন। এসময় মোটরসাইকেলযোগে তিন যুবক এসে তাকে গুলি করে ফেলে চলে যায়। কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা নিশ্চিত করতে পারেননি তার পরিবারের সদস্যরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন জানান, বেশ কিছুদিন আগে তিনি স্থানীয়দের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে নদীর বালু উত্তোলন বন্ধ করেন। এ নিয়ে প্রভাবশালীদের সঙ্গে তার বিরোধ হয়। প্রভাবশালীদের পথের কাঁটা হয়ে পড়ায় তাকে পরিকল্পিত হত্যা করা হতে পারে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা বিএনপির এক নেতা বলেন, কিছুদিন ধরে নয়াবাড়ীসহ দোহার উপজেলায় বিএনপির মধ্যে বিভেদ তৈরি হয়। এতে সক্রিয় হয় দুটি গ্রুপ। নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে একে অপরের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। সেই জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে কি না খতিয়ে দেখার অনুরোধ করছি।
হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে দোহার থানার ওসি মো. হাসান আলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বলেন, নিহত হারুনুর রশিদের সঙ্গে পূর্বশত্রুতা আছে কি না এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও বালু উত্তোলন ও আধিপত্য নিয়ে বিএনপির অপর একটি গ্রুপের যোগসাজশ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হবে।