জুন ২৭, ২০২৫, ০৬:৪৯ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
এক যুগ আগে নির্মাণ শুরু হয়েছিল ‘সব কিছু পেছন ফেলে’ নামে একটি সিনেমা। নির্মাতা রাজিবুল হোসেনের পরিচালনায় এই চলচ্চিত্রে অতিথি চরিত্রে অভিনয় করেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের তারকা সাকিব আল হাসান। কক্সবাজারে হয়েছিল শুটিংও। কিন্তু শুটিংয়ে অংশ নেওয়ার পরও সংবাদমাধ্যমে নিজের অভিনয়ের বিষয়টি অস্বীকার করেন সাকিব। এতে থেমে যায় পুরো প্রজেক্ট।
পরিচালক ও প্রযোজক রাজিবুল হোসেন সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সিনেমার শুটিংয়ের ছবিও প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘সাকিব আল হাসান ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে অভিনয় করেছেন। দৃশ্য ধারণ করা হয়েছে ক্ল্যাপস্টিক ও প্রফেশনাল রেকর্ডিংয়ের মাধ্যমে। কিন্তু পরে তিনি অস্বীকার করলে সিনেমাটি অনিশ্চয়তায় পড়ে যায়।’
নির্মাতার ভাষায়, ‘সাকিব আল হাসানের মিথ্যাচার শুধু আমাকে নির্মাতা হিসেবে ক্ষতিগ্রস্ত করেনি, এটা একটি শিল্পভিত্তিক কাজের প্রতিও চরম অসম্মান। আমি চাইলে তাকে বাদ দিয়ে সিনেমাটি শেষ করতে পারতাম, কিন্তু অসম্পূর্ণ সত্য দিয়ে পূর্ণ সিনেমা নির্মাণ করা যায় না—এই নৈতিক কারণে আমি তা করিনি।’
ফুজিফিল্মের মাধ্যমেই সাকিবের যুক্ততা
সিনেমাটির স্পন্সর ছিল ফুজিফিল্ম বাংলাদেশ। রাজিবুল জানান, সাকিব তখন ফুজিফিল্মের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর ছিলেন। প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে সাকিবের চুক্তি অনুযায়ী বছরে আট দিন সুবিধামতো সময় দেওয়ার কথা ছিল। সেই চুক্তির আওতায় সিনেমাটিতে অভিনয়ের প্রস্তাব আসে, এবং ফুজিফিল্ম নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থও দেয় প্রযোজনায়।
‘প্রথম লটেই আমরা তার শুটিং করি। এরপর কোনো এক সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশ হলে সাকিব তা অস্বীকার করেন। কেন এমন করলেন, তা আমি জানি না’—বলেন রাজিবুল।
সিনেমাটি বন্ধ হওয়ার পেছনে কারণ
পরিস্থিতি সামাল দিতে ফুজিফিল্ম প্রযোজককে অনুরোধ করে সাকিবকে বাদ দিয়েই কাজ শেষ করতে। তবে নির্মাতা জানান, ততদিনে তার অভিনয়ের খবর ছড়িয়ে পড়ে। ফলে শিল্পের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে সিনেমাটির কাজ বন্ধ করে দেন তিনি। এতে তার প্রায় ৬৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।
এত দিন পর অভিযোগ কেন?
এই প্রশ্নের জবাবে রাজিবুল বলেন, ‘অনেকেই সিনেমাটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণ নিয়ে নানা কথা বলে। তাদের সত্যিটা জানানোর দরকার ছিল। কেউ কেউ ভাবত, পরিচালনা বা প্রযোজনাগত দুর্বলতার কারণে সিনেমাটি থেমে গেছে। কিন্তু আসলে এটি থেমেছে একটি অনভিপ্রেত ও অনৈতিক ঘটনার কারণে।’