জুন ২৭, ২০২৫, ০৩:৪৯ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
নোটিস ছাড়াই ঢাকার খিলক্ষেতে মণ্ডপ উচ্ছেদের অভিযোগের জবাবে রেল উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেছেন, পূজা আয়োজকদের ‘বারবার বলার পরও’ তারা মণ্ডপটি সরায়নি।
শুক্রবার, ২৭ জুন প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের এক সংবাদ বিবৃতিতে রেল কর্তৃপক্ষের ভাষ্য জানানো হয়।
উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, “গত বছর দুর্গাপূজার সময় কিছু ব্যক্তি কোনো পূর্বানুমতি ছাড়াই খিলক্ষেতে রেলের জমিতে একটি পূজা মণ্ডপ তৈরি করে। পূজা শেষে মণ্ডপটি সরিয়ে নেয়ার শর্তে পূজা অনুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়া হয়।
“পূজার আয়োজকরা রেলকে পূজা শেষে মণ্ডপ সরিয়ে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু পূজা শেষে বারবার বলা সত্ত্বেও তারা মণ্ডপটি সরিয়ে নেয়নি। উল্টো তারা সেখানে স্থায়ী মন্দির প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। বারবার তাদের এহেন প্রচেষ্টা থেকে বিরত থাকতে বলা হলেও পূজার আয়োজকরা কর্ণপাত করেননি।”
বৃহস্পতিবার ওই মণ্ডপ উচ্ছেদের পর মানবজমিনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বছরের পর বছর ধরে ওই মন্ডপে দুর্গোৎসবের পাশাপাশি কালী পূজা হতো। সেখানে কোনো পাকা স্থাপনা না থাকলেও সম্প্রতি ইটের গাঁথুনি দেওয়া শুরু হয়। এর মধ্যে সোমবার রাতে একদল ব্যক্তি মণ্ডপটি ভাঙতে ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেন মণ্ডপ কমিটিকে।
মানবজমিন লিখেছে, উচ্ছেদ অভিযানের সময় স্থানীয় শুভ রায় বলেন, কোনো নোটিস ছাড়াই মণ্ডপটি উচ্ছেদ করা হয়েছে। প্রতিমা সরিয়ে নেওয়ার মতো সময় দেওয়া হয়নি।
তবে রেল উপদেষ্টা ফাওজুলের দাবি, জনসাধারণের সম্পত্তি দখলমুক্ত করার লক্ষ্যে ‘সব ধরনের আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে’ রেলের জমি থেকে মণ্ডপটি সরিয়ে ফেলা হয়।
রেল কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, খিলক্ষেত এলাকায় প্রথমে শতাধিক দোকানপাট, রাজনৈতিক দলের কার্যালয়, কাঁচাবাজার এবং সবশেষে অস্থায়ী মন্দিরটি সরানো হয়েছে।
“অস্থায়ী মন্দিরের প্রতিমা যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে বালু নদীতে বিসর্জন দেয়া হয়েছে।”